অগ্রগতি কম হওয়ায় সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ কমছে পদ্মাসেতু প্রকল্পের
সাইদ রিপন : কাক্সিক্ষত অগ্রগতি না হওয়ায় আলোচিত পদ্মাসেতু প্রকল্পের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ কমানো হচ্ছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এডিপি সংশোধনীতে এর বরাদ্দ কমানো হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৭৩৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
চলতি অর্থবছরের এডিপিতে পদ্মাসেতু প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয় ৪ হাজার ৩৯৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সংশোধিত এডিপিতে সেতু বিভাগ এ প্রকল্পটিতে ২ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য প্রস্তাব করেছে। এ পর্যন্ত প্রকল্পে প্রায় ১৭ হাজার ৯০৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৬২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে প্রকল্পটির আওতায় ব্যয় করতে হবে ১২ হাজার ২৯০ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নকশা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি আসেনি। এজন্য বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ১ বছর বাড়ানো হচ্ছে। পদ্মাসেতু সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে থাকা প্রকল্প। প্রকল্পটি দুইবার সংশোধনের পর বাস্তবায়নের মেয়াদকাল সাড়ে ৯ বছর পার হয়েছে। বর্তমানে এর ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। এই বরাদ্দ বছর ভিত্তিক বিভাজন করে এই অর্থ বরাদ্দ দেয় অর্থ বিভাগ। এরই অংশ হিসাবে এ অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ ছিলো ৪ হাজার ৩৯৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
পদ্মাসেতুর প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম বলেন, নকশা জটিলতার কারণে পদ্মাসেতু প্রকল্পের কাক্সিক্ষত অগ্রগতি হয়নি। এজন্য ১ বছর মেয়াদও বাড়ানো হয়েছে। এখন বছর ভিত্তিক বরাদ্দে রিসিডিউল করা হচ্ছে। সময় যেহেতু পাওয়া গেছে এজন্য বরাদ্দও কমানো হচ্ছে। সূত্রে জানা গেছে, এ প্রকল্পে নভেম্বর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৯ হাজার ১১০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবির অর্থ ছিলো ৪ হাজার ৯০৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সরকারের ফাস্টট্র্যাকভূক্ত পদ্মাসেতুর মূল আকার ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পদ্মাসেতুর ষষ্ঠ স্প্যান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এটি বসানো হবে। এটি বসলে সেতুর ৯০০ মিটার দৃশ্যমান হবে। আর ফেব্রুয়ারিতে বসে যেতে পারে আরও একটি স্প্যান। সপ্তম স্প্যানটি বসানো হলে সেতুর এক কিলোমিটারের বেশি অংশ দৃশ্যমান হবে। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা আচার্য্য