‘ইয়োলো ভেস্ট’ আন্দোলন : নাগরিকদের কর, প্রশাসন গণতন্ত্র নিয়ে সংলাপে বসতে ম্যাক্রোঁর আমন্ত্রণ
লিহান লিমা : ফান্সে মাসব্যাপী চলমান ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলন শান্ত করতে খোলা চিঠি লিখেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ২ হাজার ৩০০ শব্দের বৃহৎ এই চিঠিতে ১৫ জানুয়ারি থেকে নাগরিকদের জাতীয় সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। গার্ডিয়ান
ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এই চিঠিতে ম্যাক্রোঁ ফ্রান্সের নাগরিকদের কর, রাষ্ট্রীয় সংস্থা, প্রশাসন, পরিবেশ, নাগরিকত্ব এবং গণতন্ত্র নিয়ে সংলাপে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান। চিঠিতে ম্যাক্রোঁ বলেন, এই সংলাপে মতামত ভাগাভাগি করা হবে তবে এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী কিছু সংস্কার বা ২০১৭ সালে নির্বাচনী প্রচারণার কিছু নির্দিষ্ট ইশতেহার থেকে সরে আসা হবে না।
চিঠিতে ম্যাক্রোঁ লেখেন, ‘কোন ধরনের কর হ্রাস করা প্রয়োজন? কোন ব্যয় হ্রাস করা অগ্রাধিকার পাবে? এখানে কি প্রশাসনিক জটিলতা অনেক বেশি? দেশ পরিচালনা করার জন্য আরো ভাল নীতি কি হতে পারে? আমার কাছে, কোন প্রশ্নই নিষিদ্ধ নয়। তবে অবশ্যই আমরা সব বিষয়ে একমত হব না। এটাই স্বাভাবিক। এটাই গণতন্ত্র। কিন্তু আমরা অন্তত এটি প্রমাণ করতে পারব যে আমরা কথা বলতে, মতবিনিময় করতে এবং নিজের মত ভাগাভাগি করতে ভীত হই না। এবং আমরা অবশ্যই নিজস্ব ভিন্নতা সত্ত্বেও ঐক্যমত্যে পৌঁছাব।’ ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘জাতীয় বিতর্কের সময় প্রস্তাবিত বিষয়গুলো জাতির জন্য নতুন চুক্তিপত্র হবে। যা রাজনৈতিক, জাতীয়, ইউরোপিয় এবং আন্তর্জাতিক নীতি নির্ধারণি ইস্যুগুলোতে ভূমিকা রাখবে।’
ম্যাক্রোঁ বলেন, আমার উদ্দেশ্য সমস্যার সমাধান খোঁজা। ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত দেশজুড়ে জাতীয় বিতর্কের আলোচনা প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ম্যাক্রোঁ আশা প্রকাশ করেন, জাতীয় অংশগ্রহণের এই বিতর্কের মাধ্যমে মাসব্যাপী চলমান ইয়ালো ভেস্ট বিক্ষোভসহ জনগণের মধ্যকার উত্তেজনা হ্রাস পাবে।
প্রসঙ্গত, নভেম্বর থেকেই পেট্রোল এবং ডিজেলের ওপর বাড়তি করারোপের প্রতিবাদে ফ্রান্সে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর বাড়তি কর হ্রাস করা হলেও সরকারী অন্য বিষয়গুলো নিয়ে আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। শনিবার আন্দোলনের নয় সপ্তাহে প্রায় ৮৪ হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নামে। সম্পাদনা : ইকবাল খান