উদ্যোক্তা গড়তে বাংলাদেশ কি পিছিয়ে পড়ছে?
আবু তাহের খান : ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল এন্টিপ্রেনিউরশীপ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (জিইডিআই) কর্তৃক সম্প্রতিক প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক উদ্যোক্তা সূচক ২০১৬’ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে অভিমত ব্যক্ত করা হয়েছে যে, নতুন উদ্যোক্তা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকখানিই পিছিয়ে আছে। তাদের বিশ্লেষণ ও সূচক অনুযায়ী ১৩২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৫তম। অবশ্য গত বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ কর্তৃক ধারাবাহিকভাবে প্রায় সাড়ে ৬ শতাংশ হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা বহাল রাখতে পারার পেছনে নতুন প্রজন্মের শিক্ষিত উদ্যোক্তাদের ভূমিকাই মুখ্য বলে যে ধারণা ব্যাপক স্বীকৃতি পাচ্ছে, তার সাথে জিইডিআই’র উক্ত প্রতিবেদনের মন্তব্য একেবারেই মেলে না। তা সত্ত্বেও প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশে নতুন উদ্যোক্তা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোকে গুরুত্বের সাথে নিয়ে সেসব প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণে কার্যকর সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
বাংলাদেশে উদ্যোক্তা গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে জিইডিআই’র প্রতিবেদনে যেসব নেতিবাচক অনুষঙ্গের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তারমধ্যে একেবারে প্রথমেই রয়েছে বহুল আলোচিত আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা ও লালফিতার দৌরাত্মের বিষয়টি। আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা ও হয়রানির প্রসঙ্গটি এ দেশে এত বেশি পরিচিত ও প্রাত্যহিক ঘটনা যে, এ নিয়ে আলোচনা করাটাও অস্বস্তিকর। তবে এ প্রসঙ্গে ঐ প্রতিবেদনে যেটি বলা হয়নি, উদ্যোক্তা গড়ে তোলার ক্ষেত্রেসেটিই বরং অধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং তা হচ্ছে, এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আমলাদের অদক্ষতা ও অজ্ঞানতা। উদ্যোক্তা উন্নয়ন কার্যক্রম সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের জন্য কোনো পূর্ব-পরিকল্পনা ছাড়াই এখানে আমলাতন্ত্রের যে সদস্যদেরকে নিয়োজিত করা হয়, বিরল ব্যতিক্রম ছাড়া তাদের অধিকাংশেরই এ বিষয়ে তেমন কোনো ধারণা, জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা থাকে না। ফলে প্রায় প্রস্তুতিবিহীন অবস্থায় এবং বিষয়-সংশ্লিষ্ট জ্ঞান ব্যতিরেকে এ কাজের দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রায়শই তারা অদক্ষতার পরিচয় দিয়ে থাকেন। এমনকি এরূপও দেখা যে, যার কাছে সেবা নিতে আসছেন তারচেয়ে বেশি ধারণা, জ্ঞান বা তথ্য, যিনি সেবা নিতে আসছেন তারই রয়েছে। ফলে উদ্যোক্তা উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট সেবা নিতে এসে সেবাপ্রার্থী শুধু-যে প্রক্রিয়াগত জটিলতা ও ঘুষ-দুর্নীতির কারণেই হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতার শিকার হচ্ছেন তাই নয়, সেবাদাতার বিষয়গত জ্ঞান ও ধারণার অভাব এবং অদক্ষতার কারণেওতাকে এ সবের শিকার হতে হচ্ছে। অতএব, উদ্যোগক্তা উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট সেবাদানেরক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতা পরিহারের লক্ষ্যে আমলাতন্ত্রের কাঠামোগত সংস্কারের পাশাপাশি এর দক্ষতা বৃদ্ধির ব্যাপারেও বিশেষ মনোযোগী হওয়া আবশ্যক। এবং সত্যি কথা বলতে কি, এ ক্ষেত্রে কাঠামোগত সংস্কারের চেয়ে দক্ষতা উন্নয়নের কাজটিই বরং আগে হওয়াপ্রয়োজন। কেননা এরূপ নি¤œস্তরের আমলাতান্ত্রিক দক্ষতা দিয়ে আর যাই হোক, উদ্যোক্তা উন্নয়ন সংক্রান্ত আধুনিক সেবাসহায়তা দানের কাজটি করা সম্ভব নয়।
উদ্যোক্তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রতাই-যে প্রধান বাধা—এটি শুধু জিইডিআইই বলেনি, সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. কৌশিক বসুও বলে গেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত ১৩ ডিসেম্বরের লোকবক্তৃতা এবং ১৫ ডিসেম্বরের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বিরাজমান যে দুটি বড় চ্যালেঞ্জের কথা তিনি উপর্যুপর্ িউল্লেখ করেন, তার একটি হচ্ছে দুর্বল অবকাঠামো এবং অপরটি হচ্ছে ব্যবসায় সংক্রান্ত প্রশাসনিক জটিলতা। বস্ততঃ ওই দ্বিতীয়টির আওতাতেই পড়ে উদ্যোক্তাকে সেবাসহায়তা দান সংক্রান্ত আমলাতান্ত্রিক হয়রানি ও দীর্ঘসূত্রতার প্রসঙ্গটি। এ সূত্রে বলা প্রয়োজন যে, বাংলাদেশের গত সাড়ে ৪ দশকের বিশেষতঃ গত ৬/৭ বছরের অর্জন ও অগ্রগতি নিয়ে সারাবিশ্বেই আজ প্রসংসাসূচক আলোচনা হচ্ছে। ড. কৌশিক বসুও তাঁর আলোচনায় সে মতামত যুক্ত করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে যে ক্ষেত্রটিতে বাংলাদেশ তার জন্মের পর থেকেই ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে, তা হচ্ছে আমলাতান্ত্রিক দক্ষতা ও সেবার মান। এ ক্ষেত্রে অবনমনের স্তর নিচে নামতে নামতে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বাংলাদেশের অপরাপর ক্ষেত্রের অগ্রগতি ও অর্জনের পাশে এটিকে বড়ই বেমানান ও খাপছাড়া মনে হয়। এ অবস্থায় আমলাতন্ত্রের সদস্যরা দেশের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কার্যক্রমে যে সেবা সহয়তা প্রদান করেছেন, তা এ ক্ষেত্রের কাঙ্খিত চাহিদা ও মানকে একেবারেই পূরণ করতে পারছেনা। ফলে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলবার কাজটি বাস্তবে আগ্রহীব্যক্তিবর্গের নিজেদেরকেই করতে হচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের এই অতি দুর্বল ভূমিকার কারণেই বস্ততঃ উদ্যোক্তা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে, যেমনটি জিইডিআই’র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশে আরো বর্ধিত সংখ্যায় উদ্যোক্তা গড়ে না ওঠার জন্য রাষ্ট্র ও প্রশাসনের অতিকেন্দ্রিকতার বিষয়টিওবহুলাংশে দায়ী। এ দেশে রাজধানীতে থাকা মানুষজন যত সহজে এতদ্সংক্রান্ত তথ্য, সেবা ও আনুষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধা পেতে পারেন (নানা আমলতান্ত্রিক হয়রানি ও জটিলতা স্বত্বেও), গ্রাম বা মফস্বলের মানুষের পক্ষে তা পাওয়া মোটেও ততোটা সহজ নয়। নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠবার ইচ্ছা ও সামর্থ রাখেন এরূপ মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশের জনমিতিক কাঠামোর কারণে রাজধানী বা বড় শহরেগুলোর বাইরেই বেশি। কিন্তু বিকেন্দ্রায়িত প্রশাসনিক ব্যবস্থার অভাবে সে সুযোগ ও সম্ভাবনার একটি বড় অংশই শেষ পর্যন্ত অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে নতুন উদ্যোক্তা গড়ে তুলবার বা ওঠবার ক্ষেত্রে একটি বড় মাত্রার দুর্বলতা হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও লেনদেনের বিষয়ে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও সেবা গ্রহণকারী ব্যক্তি উভয়েরইপর্যাপ্ত অভিজ্ঞতার অভাব। উল্লিখিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গ স্থানীয় বাজারে বেচাবিক্রিরকৌশলটি মোটামুটি বুঝলেও আমদানি-রফতানি বাণিজ্য এবং বিদেশে বিনিয়োগ সেখানে বসে কেনাবেচার বিষয়টি তাদের অধিকাংশেরধারণাতেই অস্পষ্ট। ফলে সংশ্লিষ্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যখন কোনো সম্ভাব্য উদ্যোক্তাকে সেসব পরামর্শ দেন, তখন তিনি সর্বোচ্চ ততটুকুই দিতে পারেন যতটুকু স্থানীয় বাজারের পরিধিতে কাজে আসে। সে ক্ষেত্রে ঐ উদ্যোক্তা যদি তার পণ্যের ব্যাপারে বৈদেশিক বাজারের কথা ভাবতে চান, তাহলে সে কাজটি তাকে নিজ দায়িত্বে নিজ বুদ্ধিতেই করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সামর্থ বলতে গেলে খুবই অপ্রতুল বা প্রায় নেই বললেই চলে। অন্যদিকে সেবাগ্রহণকারী সম্ভাব্য নতুন উদ্যেক্তা যখন বিনিয়োগের কথা ভাবেন, আন্তর্জাতিক বাজার সম্পর্কে ধারণার অভাবে তিনিও বস্ততঃ স্থানীয় বাজারের কথা ভেবেই যাত্রা শুরু করেন। এবং তাদের মধ্যে কেউ যদি সাহসী হয়ে বৈদেশিক বাজারের কথা ভাবতে চান, তাহলেও তিনি তা প্রথম যাত্রায় শুরু করেন না। প্রথমে স্থানীয় বাজারে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের পর তিনি রপ্তানি বাণিজ্যে হাত দেয়ার কথা ভাবেন। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে যে,মুক্তবাজার অর্থনীতির ‘কল্যাণে’ পৃথিবীতে এখন স্থানীয় বাজার বলতে কিছু নেই। এ অবস্থায় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সেবা এবং সেবা গ্রহণকারী উদ্যোক্তার চিন্তাভাবনা ও পরিকল্পনার পরিধি যদি আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা ও প্রবণতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না হয়, তাহলে সে ক্ষেত্রে এসব সেবা ও উদ্যোগ সাময়িকভাবে চালিয়ে নেয়ার মতো হলেও দীর্ঘমেয়াদে তা টেকসই হবে কিনা, সে সংক্রান্ত ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা থেকেই যায়। ফলে উচ্চতর প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখে একে আরো সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে উল্লিখিত উভয় পক্ষকেই এ ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী টেকসই কৌশলের কথা আরো গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে। মনে রাখা প্রয়োজন, প্রযুক্তির ত্বরিৎ বিকাশ ও ভোক্তার ভোগ প্রবণতা ও আচরণের নিত্য পরিবর্তনের কারণে বিশ্ববাজার এখন খুবই দ্রুত পরিবর্তনশীল। ফলে নতুন যুগের উদ্যোক্তাদেরকে বিশ্ববাজারের সে বাস্তবতা ও প্রবণতার কথা মাথায় রেখেই তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনাকে সাজাতে হবে।
উদ্যোক্তা গড়ে না ওঠার ক্ষেত্রে আরেকটি অতি পুরনো প্রসঙ্গের কথা এখানে না ওঠালেই নয় এবং সেটি হচ্ছে এককেন্দ্রিক সেবা (ওয়ান স্টপ সার্ভিস) । এ নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে এত আলোচনা এবং এ ধারণার অদক্ষ ব্যবহারে এতবার এর অপমৃত্যু হয়েছে যে, এ নিয়ে কথা ওঠলে খুব স্বাভাবিক কারণেই মানুষজন অত্যন্ত বিরক্ত হন। তবু বিষয়টি আবারো উত্থাপনের চেষ্টা করছি একে ভিন্ন আঙ্গিক ও দৃষ্টিকোণ হতে দেখবার সাহস থেকে। অতীতে মূলত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সেবাদান কার্যক্রমকে সহজীকরণের দৃষ্টিকোণ থেকেইএ ধরনের চিন্তাভাবনার উদ্ভব হয়েছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় নীতিমালা ও অর্থনীতির কাঠামো এখন আমূল পাল্টে গেছে। এখন এই এককেন্দ্রিক সেবাদানের কাজটির জন্য শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর না করে বেসরকারিখাতে এ ধরনের সেবা প্রদানের চিন্তাভাবনাও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)-এর ইনোভেশন অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার (আইআইসি)-এর পক্ষ থেকে ব্যবসায় ও শিল্প স্থাপনে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের জন্য এরূপ এককেন্দ্রিক পরামর্শ-সেবা প্রদানের বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে চিন্তাভাবনা চলছে, যা সফল হলে বাংলাদেশের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কার্যক্রমের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে বলে আশা করা যায়।
দেশের সফল উদ্যেক্তাদের অভিজ্ঞতার সাথে নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের ধারণা ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগও বাংলাদেশে প্রায় নেই বললেই চলে। অথচ শিল্পোন্নত দেশগুলোতে নতুন উদ্যোক্তা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এটিকে একটি খুবই কার্যকর কৌশল হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। সেখানকার সেবাদান ও গবেষণা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সেখানকার সফল উদ্যোক্তারা কিভাবে ঝুঁকি মোকাবেলা করে ছোট থেকে বড় হয়েছেন, সেসব অভিজ্ঞতার কথা নবীন উদ্যোক্তাদেরকে শোনাবার ব্যবস্থা করে থাকে। আর এর মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তারা প্রবীণদের কাছ থেকে ধারণা ও অভিজ্ঞতার বিবরণ শুনে নিজেদের বিনিয়োগ-পরিকল্পনাকে সুষ্ঠু, সুচারু ও দৃঢ়ভিত্তিক করে সাজাতে সক্ষম হন। অন্যদিকে, গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো মতবিনিময়ের এ নির্যাস নিয়ে প্রয়াসী হন উদ্যোক্তা উন্নয়ন সংক্রান্ত নতুন তাত্ত্বিক ধারণাসৃষ্টি করতে । আশা করা যায়, অদূর ভবিষতে বাংলাদেশেও এ ধারণা বাস্তব কার্যকারিতা পেতে সক্ষম হবে।
বিশ্বঅর্থনীতি ও এর বাজারকাঠামোর আন্তর্জাতিক প্রবণতা ও বৈশিষ্ট্যসমূহের বিবেচনায় বাংলাদেশে নতুন উদ্যোক্তার সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদ্যমান কার্যক্রমের দুর্বলতা ও ভবিষ্যতের টেকসই কৌশল কী হতে পারে, সেনিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনার সুযোগ ও প্রয়োজন দুই-ই রয়েছে। তবে এখানে অতি সংক্ষেপে শুধু এটুকু বলা যেতে পারে যে, এতদ্সংক্রান্ত কার্যক্রমকে এখন আর শুধু স্থানীয় বাজারের চালচিত্রের চৌহদ্দির মধ্যে আটকে না রেখে একে বিশ্ববাজারের আঙ্গিক ও পরিবর্তনশীলতার সাথে দ্রুত সঙ্গতিপূর্ণ করে তুলতে হবে।
আবু তাহের খান: পরিচালক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
ধঃশযধহ৫৬@মসধরষ.পড়স