হেলিকপ্টারের জন্য এইচএএলের ব্লেডের সঙ্কট থাকায় সিয়াচেনে সমস্যায় পড়বে ভারতীয় সেনাবাহিনী
সাউথএশিয়ান মনিটর : পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র সাচিয়ান হিমবাহ এলাকায় লড়াইয়ের সক্ষমুার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে যাচ্ছে বলে সুর্ক করেছে ভারতের বিমান বাহিনী। বিমান বাহিনী ওই এলাকায় যে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে, হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (এইচএএল) তার রোটর ব্লেড তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়ায় এই সঙ্কট তৈরি হতে যাচ্ছে বলে সুর্ক করেছে তারা। ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় যে সেনাদের মোতায়েন করা হয়েছে, তারা আঘুদের সরিয়ে নেয়া এবং জরুরি সরবরাহের জন্য চিতাহ এবং চিতল হেলিকপ্টারের উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল।
ফরাসী হেলিকপ্টারগুলো এখন তৈরি করছে রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান এইচএএল। এগুলোর যে বিশেষ ধরণের রোটর ব্লেড রয়েছে, সেগুলো এই হেলিকপ্টারকে অস্বাভাবিক উচ্চতায় উঠতে সাহায্য করে। ১৯৭২ সালে ভারতে চিতাহ হেলিকপ্টার তৈরি শুরু করে। বিমান বাহিনী তাদের পুরনো চিতাহ কপ্টারের বহর নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে এবং তারা এইচএএলকে যে ১০টি চিতল হেলিকপ্টারের অর্ডার দিয়েছিল, সেগুলো নিয়েও অনিশ্চয়তায় পড়েছে বিমানবাহিনী। কারণ ২০১২ সালে ফরাসী মূল কোম্পানি এই কপ্টারের রোটর ব্লেড তৈরি বন্ধ করে দেয়ায় এইচএএল আর কপ্টার তৈরি করতে পারেনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে গণ বছর জানানো হয়েছে যে, এইচএএল মূল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস হেলিকপ্টারের দেয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে ১২টি ব্লেড তৈরি করেছে, সেগুলোতে অতিমাত্রায় কম্পন হচ্ছে এবং সে কারণে সেগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
এইচএএলের হাতে এখন অল্প কিছু রোটর ব্লেড রয়েছে যেগুলো ২০১২ সালের আগে অর্ডার দেয়া হয়েছিল। ফলে এইচএএল এই হেলিকপ্টারগুলোকে সাপোর্ট দিকে সক্ষম কি না, সেটা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। বিমান বাহিনী জানিয়েছে, যদি এই হেলিকপ্টারগুলোর বিকল্প না পাওয়া যায়, তাহলে বহরের সংখ্যা কমে আসবে। তাছাড়া ৮৫ সিরিজের ব্লেড না থাকায় ১০টি চিতল হেলিকপ্টারের যে অর্ডার দেয়া হয়েছে, সেটিও তৈরি হবে না বলে আশঙ্কায় রয়েছে বিমান বাহিনী। মূল চুক্তি অনুযায়ী গত বছর হেলিকপ্টারগুলো হস্তান্তরের কথা ছিল। বিমান বাহিনীর উদ্বেগ আরও বেড়ে যাওয়ার কারণ হলো পুরনো এই বহর বদলে রাশিয়ার তৈরি কামোভ কা ২২৬ বিমান নেয়ার যে কথা ছিল, সেটার কোন প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ