২০১৮ সালে বিশ্বের ৭৪৪ জাহাজের ৫১৮টিই ভাঙ্গা হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানে
আসিফুজ্জামান পৃথিল : ২০১৮ সালে বিশ^জুড়ে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডগুলো ৭৪৪টি সমুদ্রগামী বড় জাহাজ ক্রয় করেছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের জাহাজভাঙা কোম্পানিগুলোই ভেঙেছে ৫১৮টি জাহাজ। যা মোট জাহাজ ভাঙা টনের ৯০.৪ শতাংশ। স্টিলগুরু
এনজিও শিপব্রেকিং প্লাটফর্মের পরিচালক ইঙভিøড জেনসেন বলেন, ‘২০১৮ সালের পরিসংখ্যান আমাদের ধাক্কা দিয়েছে। ইয়ার্ডগুলোর ভয়াবহ অবস্থার কথা কোন জাহাজ মালিকই অস্বীকার করতে পারবেন না। নিজেদের জাহাজের সর্বোচ্চ দর পাওয়ার জন্য তারা এই জঘন্য ইয়ার্ডগুলোতেই জাহাজ বিক্রি করে। এরফলে সমুদ্রতটের ক্ষতির বিষয়টি অত্যন্ত বাস্তবিক। শ্রমিকরা নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে, বিষক্রিয়ায় ভোগে, উপকূলীয় বাস্তুসংস্থানের ভয়াবহ ক্ষতি হয় শ্রমিক ও পরিবেশের বিপুল ক্ষতি করার দায় জাহাজ মালিকদের অবশ্যই নিতে হবে।’
সবচেয়ে বেশি জাহাজ বিক্রি করা দেশ হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, গ্রীস এবং যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৮ সালে দক্ষিণ এশিয় শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি জাহাজ বিক্রি করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তাদের বিক্রি করা জাহাজের সংখ্যা ৬১টি। গ্রীসের জাহাজ ৫৭টি এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ ৫৩টি।এনজিওটি সবচেয়ে খারাপ ডাম্পার পুরস্কারে দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানি সিনোকোর মার্চেন মেনিকে ‘পুরস্কৃত’ করেছে। তারা বিক্রি করেছে ১১টি জাহাজ। এর ৮টি কিনেছে বাংলাদেশ আর ৩টি ভারত।
তবে সুখবরও রয়েছে। বিশে^র সবচেয়ে বেশি জাহাজ ভাঙা দেশ বাংলাদেশ এই শিল্প থেকে ধীরে ধীরে সরে আসছে। বাংলাদেশ যেমন জাহাজ ভাঙছে, তেমনি জাহাজের জন্য প্রয়োজনীয় স্টিল আমদানিও করছে। তবে বাংলাদেশ এবার আশ্চর্যজনক পরিমাণে মিলিটারি গ্রেড স্টিল আমদানির এলসি খুলেছে। কিছু বাংলাদেশী কোম্পানি জাহাজের স্টিল রিসাইক্লং করে তাতে অধিক কার্বন যোগে নিজেরাই সামরিক স্টিল বানাচ্ছে, যা নৌবাহিনীর উপযোগী জাজাজ নির্মানে ব্যবহৃত হয়। আশা করা যায় জাহাজ ভাঙা কমিয়ে দেশটি একদিন বিশে^র অন্যতম শীর্ষ জাহাজ উৎপাদকে পরিণত হবে। সম্পাদনা : ইকবাল খান