এফএটিএফ বৈঠকে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করতে চায় ভারত
নূর মাজিদ : সন্ত্রাসবাদবিরোধী অর্থনৈতিক টাস্ক ফোর্সের(এফএটিএফ) বৈঠকে পাকিস্তানকে ফের কালো তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা চালাবে ভারত। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় আধা-সামরিক বাহিনীর ওপর পরিচালিত আত্মঘাতি হামলায় মদদদানের অভিযোগে পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবে একঘরে করে ফেলতে ভারতের এই পদক্ষেপ। প্যারিসে চলমান (১৭-২২ ফেব্রুয়ারি) এফএটিএফ-এর প্ল্যানারি সেশনের বৈঠকে এই প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। ইকোনমিক টাইমস, ডিফেন্স পোষ্ট
পুলওয়ামা হামলার পরেই পাকিস্তান সমর্থিত কাশ্মীরি জঙ্গিনেতা মাওলানা মাসুদ আজহার প্রতিষ্ঠিত জয়েশ-ই-মোহাম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করে। তবে ভারত বরাবরই বলে আসছে জয়েশের বেশে আইএসআই এজেন্টরা ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন পরিচালনা করে। তাই পুলাওয়ামা হামলার পরই এবার আর পাকিস্তানকে কোন ছাড় না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। বিশেষ করে, পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অর্থনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলাও ভারতের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। এই বিষয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির দৈনিক ইকোনমিক টাইমস জানায়, ইতোমধ্যেই ভারতের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এফএটিএফ সদস্য দেশগুলো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বৈঠকে উত্থাপনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছে। বৈঠকে এই অভিযোগ পর্যালোচনা করে দেখা হবে।
তবে শুধু এখানেই নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছেও দেন-দরবার শুরু করেছে ভারত। সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানি অর্থায়ন ও হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার বন্ধে দেশটির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চায় ভারত। এই কারণেই মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া জোরদার করেছে ভারত। মিউনিখ সম্মেলনের সাইডলাইনে পাকিস্তানকে একঘরে করে ফেলতে একাধিক দেশের কূটনীতিকের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ভারতের সহকারি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পঙ্কজ শরণ। তিনি বাংলাদেশ, ওমান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, উজবেকিস্তান, আর্মেনিয়া, মঙ্গোলিয়া এবং ওমানের কূটনীতিবিদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন। অধিকাংশ দেশই এই সময় ভারতের পদক্ষেপে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের সূত্রগুলো দাবী করে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তর ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছে, অর্থনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে নাজেহাল করে কাশ্মীর হামলার পাল্টা জবাব দেয়ার কূটনীতিক পদক্ষেপ জোরদার করেছে ভারত। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব