কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল, ঠাঁই মিলছে না হোটেলে
আমান উল্লাহ : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা তিনদিনের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে। ছুটির দিনগুলো পরিবার বা প্রিয়জনের সঙ্গে কাটাতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারে ছুটে এসেছে ভ্রমণপিপাসুরা। শীতের শেষ, বসন্তে দিনের গরম-রাতের হিমশীতলতার ছোঁয়া নিতে আসা পর্যটকে সরগরম হয়েছে সৈকত নগরীর বালিয়াড়ি ও পর্যটন স্পটগুলো। হোটেল-মোটেলগুলোতে ঠাঁই মিলছে না ভ্রমণপিপাসুদের। হোটেলে রুম না পেয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকেই খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেয় হাজারো পর্যটক। সন্ধ্যার পর থেকে কিছু হোটেলে বেশি দামে রুম নিয়ে ওঠলেও অনেক পর্যটকেরই রাতযাপনের ব্যবস্থা হয়নি।
সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, বালিয়াড়িতে আসা পর্যটকরা ঢেউয়ের সান্নিধ্য নিতে গোসলে নেমেছে। স্থানীয় পর্যটকরা বিচ চেয়ার কিংবা বালিতে বসে সুখ-দুঃখের অনুভূতি শেয়ার করছেন। আবার কেউ হাটছেন এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত।
জানা যায়, টানা ছুটিকে কেন্দ্র করে সাগরের নীল জলরাশি ও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন প্রায় ৩ লাখ পর্যটক। পর্যটকরা সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা, ইনানী, হিমছড়িসহ ৬টি পয়েন্ট ছাড়াও ভ্রমণ করেছেন, দরিয়ানগর, হিমছড়ি ঝর্না, রামুর বৌদ্ধ বিহার, রেডিয়েন্ট ফিশ ওর্য়াল্ড, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, সোনাদিয়া ও সেন্টমার্টিনসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান।
কক্সবাজার গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, টানা ছুটি থাকলে ভ্রমণ পিপাসুরা আগাম হোটেল কক্ষ বুকিং করেন। এবারও তেমনটি হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি সকাল পর্যন্ত কক্সবাজারের সর্বত্র জমজমাট থাকবে এমনটি আশা আমাদের।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান বলেন, নিরাপত্তা সেবার প্রতিষ্ঠান হিসেবে পর্যটকদের নির্বিঘœ চলাচল নিশ্চিতে লাবণী, সুগন্ধা পয়েন্ট, মেইন বিচসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কয়েকটি টিম সার্বক্ষণিক কাজ করবে। মোটরসাইকেল নিয়ে সকাল ৮ থেকে রাত ৯ পর্যন্ত মোবাইল ডিউটিতে রাখা হয়েছে অপর টিম। এছাড়াও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা একাধিক টিমে বিভক্ত হয়ে মাঠে রয়েছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, পর্যটন শহর হিসেবে সহজলভ্য সেবা নিশ্চিতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে। সেই বিষয়ে বলা থাকে আবাসন সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও। যারা নীতিভ্রষ্ট তারাই অভিযোগ সৃষ্টির কাজগুলো করে। পর্যটন এলাকায় ঘুরছে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কয়েকটি টিম। পর্যটকরা হয়রানির যেকোনো অভিযোগ তাদের কাছে পৌঁছালে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান, ইকবাল খান