প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন মিয়ানমারকে হারিয়ে এএফসি টুর্নামেন্ট নিশ্চিত বাংলাদেশি কিশোরীদের
আক্তারুজ্জামান : আগের ম্যাচে ১০-০ গোলের জয়ে আত্মবিশ্বাসটা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। তবে একেবারে হাওয়ায় উড়ছিল না মারিয়া-মান্দা-আঁখি খাতুনরা। ধীর-স্থিরভাবে স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়েছে লাল-সবুজের কিশোরীরা। ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে ১-০ গোলে হারায় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে মিয়ানমার। এ জয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অভিনন্দন জানিয়েছেন দলটিকে। অন্যদিকে টানা দুই জয়ে এএফসির মূল পর্বের টিকিট নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশের কিশোরীরা। এই ম্যাচে নামার আগে কত বিচার-বিশ্লেষণ। কত উদ্বেগের চোরাস্রোত! মিয়ানমারের মাটিতে পারবে তো বাংলাদেশের মেয়েরা? সেই মিয়ানমারের মাটিতে মিয়ানমারকে ১-০ গোলে হারিয়েই এএফসি অনূর্ধ্ব ১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের চ‚ড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করে স্বস্তি এনে দিয়েছেন মারিয়া মান্দারা। ফলে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়ার সেরা মঞ্চে খেলবে বাংলাদেশ।
বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে ফিলিপাইনের বিরুদ্ধে বড় জয়ের পরেও মিয়ানমারের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে বাজি ধরার লোক ছিল খুবই কম। একে তো নিজেদের দর্শকদের সামনে খেলবে তারা, দ্বিতীয়ত শক্তিতেও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। কিন্তু মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমারা অদম্য। চ‚ড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য চোয়ালবদ্ধ মুখ নিয়েই মাঠে নেমেছিল তারা। একটিবারের জন্যেও স্বাগতিকরা বাংলাদেশকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি।
মিয়ানমারের মান্দালার থিরি স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে গোলশূন্য পার করে বিরতিতে যায় দুই দল। বাংলাদেশকে আটকে রাখার পরিকল্পনা করে মাঠে নেমে উল্টো গোল খায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৮ মিনিটে মনিকা চাকমা গোল করে ম্যাচের মীমাংসা করে দেয়। কর্নার থেকে নেয়া মনিকার শট মিয়ানমার গোলরক্ষকের হাত ফসকে জড়িয়ে যায় জালে। এই গোলেই মূল পর্বে জায়গা করে নিলো গোলাম রাব্বানীর শিষ্যরা।
এশিয়ার সেরা আটটি দেশকে নিয়ে সেপ্টেম্বরে থাইল্যান্ডে হবে এএফসি অনূর্ধ্ব ১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ। যেখানে সরাসরি খেলবে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া, রানার্সআপ দক্ষিণ কোরিয়া, তৃতীয় জাপান ও স্বাগতিক থাইল্যান্ড। এই দলগুলোর সঙ্গে যোগ হবে দ্বিতীয় পর্বের সেরা চার দল। এক ম্যাচ হাতে রেখেই চ‚ড়ান্তপর্ব নিশ্চিত করে ফেললো বাংলাদেশ। আগামীকাল ৩ মার্চ চীনের বিপক্ষে গ্রæপের শেষ ম্যাচে চীনের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াইয়ে নামবে তহুরা, শামসুন্নাহাররা। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব