রিমোট কন্ট্রোলে চলছে ট্রাক্টর, খরচ কমেছে চাষাবাদে
মঞ্জুর দেওয়ান : চালকবিহীন এক ট্রাক্টরের মাধ্যমে চলছে জমিতে চাষাবাদ। শুধু তাই নয়, ধান কাটা, মাড়াই এমনকি বস্তায় ভরার কাজও চলছে এই যন্ত্রের মাধ্যমে। রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে ট্রাক্টরের সব কাজ। অভিনব এই যন্ত্রের আবিষ্কারক ডা. আনোয়ার হোসেন। তার আবিষ্কৃত ‘আনোয়ার এক্সেল পাওয়ার টিলার’ নামের রিমোট কন্ট্রোল পাওয়ার টিলারে সাধারণ পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টরের চেয়ে দ্রুত ও ভালোভাবে চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে। নতুন নতুন কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর গ্রামের এই কৃষক। ঢাকা টাইমস
এসব যন্ত্রে কৃষিকাজে যেমন কমছে আর্থিক, সময় ও শ্রমের অপচয়, তেমনি বাড়ছে ফসলের উৎপাদন ও দাম। ইতিমধ্যেই ব্যবহার করে উপকার পেয়েছেন অনেকে। ফলে সেগুলো ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এ অঞ্চলে। যন্ত্র ও এর কাজ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকেও ছুটে আসছেন মানুষ। আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নতুন নতুন কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবনে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নষ্ট বা ফেলে দেয়া মেশিন কিংবা ভাঙড়ির দোকানে অব্যবহৃত লোহা-লক্কর আর যন্ত্র দিয়েই তৈরি করি এসব যন্ত্র। সহযোগিতা পেলে আরও অগ্রসর হতে পারবো।’
এলাকার কৃষক মতিউর রহমান বলেন, ‘পাওয়ার টিলার ও ট্রাক্টরের যন্ত্রাংশে তৈরি ডাবল গিয়ারবক্সের পাওয়ার টিলারটি রিমোট কন্ট্রোলে চলছে। সাধারণ পাওয়ার টিলারে এক একর জমিতে চাষাবাদ করতে ৬-৭ লিটার জ্বালানি তেল (ডিজেল) লাগে। সেখানে এ যন্ত্রটিতে এক একরে লাগছে ৩-৪ লিটার ডিজেল। এমনই নতুন নতুন কৃষিযন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন আনোয়ার হোসেন।’ দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. তৌহিদুল ইকবাল জানান, আনোয়ারের উদ্ভাবিত এসব কৃষিযন্ত্র নিয়ে ইতিমধ্যে মাঠ দিবসও অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষিবিদ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও যন্ত্রগুলো দেখে এসেছেন।
দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম বলেন, ‘আমিও সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি। বেশ আশাবাদী আমি, দেশ ছেড়ে হয়তো একদিন বিদেশেও সাড়া ফেলবে যন্ত্রগুলো।’ সম্পাদনা : রেজাউল আহসান