চীনা রাষ্ট্রদূত বললেন, বাংলাদেশেরসমুদ্র অর্থনীতি অত্যন্ত সম্ভাবনাময়
কালাম আঝাদ : ২) চীনের রাষ্ট্রদূত জ্যাং জো বলেন, সমুদ্র অর্থনীতি খাতের যথাযথ বিকাশে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক ও মানব সম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন একান্ত অপরিহার্য। ৩) সম্প্রতি চীন সরকার চীনে বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে নতুন বৈদেশিক বিনিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। ৪) এ অঞ্চলে (দক্ষিণ এশিয়া) উচ্চমানসম্মত পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতকল্পে চীন সরকার কর্তৃক গৃহীত ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ কার্যক্রমটি চলমান রয়েছে।
৫) ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সামনের দিনগুলোতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। ৬) বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের বৃহৎ প্রকল্পগুলোর উন্নয়ন ও বিনিয়োগে চীন বৃহত্তম অংশীদার এবং নিকট ভবিষ্যতে এ খাতের নতুন প্রকল্পগুলোতে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
৭) ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ওসামা তাসীর চীনের রাষ্ট্রদূতকে ডিসিসিআইতে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১২ দশমকি ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ৮) ২০২১ সালের মধ্যে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দাঁড়াবে। ৯) ইতোমধ্যে চীন বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের বড় প্রকল্পগুলোতে বিনিয়োগ করেছে এবং আশা প্রকাশ করেন সামনের দিনগুলোতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
১০) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওসামা তাসীরের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত জ্যাং জো শনিবার চেম্বার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক আন্দালিব হাসান, আলহাজ দ্বীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, হোসেন এ সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার মো. আল আমিন, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন, নূহের লতিফ খান, শামস মাহমুদ, এস এম জিল্লুর রহমান এবং চীনা দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর এলভি ইয়াং উপস্থিত ছিলেন।