শরীরে ৪টি গুলি, গ্রেনেডে আহত পা নিয়েও ২ শিশুর প্রাণরক্ষা!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৯৯৪-এর ২৫ জানুয়ারি সেনা ছাউনিতে খবর আসে, জঙ্গিরা আক্রমণ হেনেছে আদিবাসী অধ্যুষিত তামেংলং গ্রামে। দলবল নিয়ে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পিল্লাই গ্রামে পৌঁছালে লড়াই চলার পর কয়েকজন জঙ্গি গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। একসময় লাথি মেরে দরজাটি খুলতেই গুলিবৃষ্টি শুরু হয় তার উপর। মুহূর্তের মধ্যে আরও চারটি গুলি ঢুকে যায় তার দেহে। এর মধ্যে তার নজরে আসে ঘরের ভেতরে পড়ে রয়েছে দুটি গুলিবিদ্ধ শিশু। ক্যাপ্টেন পিল্লাই সংকল্প করেন শিশু দুটিকে বাঁচানোর। সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারে দুটি শিশুর সঙ্গে তোলা হল ক্যাপ্টেন পিল্লাইকেও। তিনি শান্ত গলায় হেলিকপ্টার চালককে বলেন, আমার জন্য চিন্তা করো না। শুধু দেখো, বাচ্চা দুটি যেন বেঁচে যায়। এবিপি আনন্দ
মৃত্যু তাকে গ্রাস করতে পারেনি। হাসপাতালে বেশ কিছুদিন যমে-মানুষে টানাটানির পরে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। পুনরায় যোগ দেন সেনাবাহিনীর কাজেও। আজ তিনি ভারতীয় সেনার কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।