তবে কি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন সত্যি হবে না আমিরের?
স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তানের সেরা পেসারের তালিকায় নিজের নাম উঠিয়েছেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই। সেরা পেসার হওয়া সত্তে¡ও বিশ্বকাপে মঞ্চ মাতানোর সুযোগ পাননি মোহাম্মদ আমির। অভিষেকের পর অনুষ্ঠিত হয়েছে দুটি বিশ্বকাপ ২০১১ এবং ২০১৫। স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকায় দুটিতেই ছিলেন নিষিদ্ধ। বড় ম্যাচের বড় তারকা হয়েও এই দুঃখে পুড়ছিলেন আমির। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে বড় ম্যাচের নায়ক হওয়ার পরিচয় দিয়েছেন। সেই আশা নিয়ে চেয়েছিলেন এবারের বিশ্বকাপ দিয়ে স্বপ্নটা পূরণ করবেন। কিন্তু সেটা বোধহয় আর হচ্ছে না। কেননা ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের পর ওয়ানডেতে ১০১ ওভার বল করেছেন আমির। ৬শর বেশি বল করে তার উইকেট মাত্র ৫টি। অর্থাৎ ১২১ স্ট্রাইকরেট! দুই ম্যাচে এক উইকেট, যার মূল কাজ উইকেট নেওয়া তার কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্স কেউই আশা করে না। কোচ মিকি আর্থার সব সময় আমিরের বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাদ পড়ার পর বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কোচ নিজেই, ‘বড় ম্যাচে ভালো খেলার ক্ষমতা আছে কিন্তু আমিরের ফর্ম চিন্তায় ফেলেছে।
আর এটা নিয়ে আমিরের চেয়ে কেউই বেশি চিন্তিত নয়।’
আর্থার আশা দেখালেও আমিরের পারফরম্যান্স কিন্তু পাকিস্তানের জন্য হতাশাজনক। ২০১৬ সালে নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর মাত্র চারবার ম্যাচে ৩ উইকেট পেয়েছেন এই পেসার। গত এশিয়া কাপে তিন ম্যাচে মাত্র ১৮ ওভার বল করে কোনো উইকেট পাননি। চলতি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও পাননি উইকেটের দেখা।
তাছাড়া পাকিস্তানের সাম্প্রতিক দলে থাকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলীর জায়গা এক রকম পাকা। প্রশংসা কুড়িয়েছেন আমিরের বদলে সুযোগ পাওয়া ১৮ বছরের মোহাম্মদ হাসনাইন। জুনাইদ খান ও শিনওয়ারির এ সিরিজে সুযোগ পাওয়ার কথা। যদি এমনটি ঘটেই থাকে তবে ২৬ বছর বয়সেও বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন বোধহয় পূরণ হচ্ছে না আমিরের।