বাংলাদেশে আইএস নেই স্বীকার করেছেন বার্নিকাট : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : বাংলাদেশে কথিত ইসলামিক স্টেট-আইএসের কোনো সংগঠন নেই বলে স্বীকার করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমন দাবি করেছেন।
চলমান সাঁড়াশি অভিযান সম্পর্কে তথ্য জানতে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট সচিবালয়ে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খাঁন কামালের সঙ্গে আলোচনা করার সময় এই মন্তব্য করেন বলে জানান মন্ত্রী নিজেই।
এছাড়াও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বার্নিকাট জানতে চেয়েছন, জঙ্গি দমনের নামে বিরোধী দল দমনে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে বিএনপির অভিযোগ সত্যি কিনা? গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের পর আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, তিনি (রাষ্ট্রদূত) বলেছেন, এটা হিউজ নাম্বার গ্রেফতার করা হয়েছে।
সপ্তাহব্যাপী সাঁড়াশি অভিযানের প্রথম তিনদিনে গ্রেফতারকৃত ৮ হাজারের মধ্যে অন্তত ২১শ বিএনপির নেতাকর্মী বলে দলটির দাবি।
জানা গেছে, বৈঠকে কামাল মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, পুলিশের এই অভিযানের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। ‘টার্গেট কিলিং’, রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে নিরাপত্তার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ।
বার্নিকাটের তোলা ‘হিউজ নাম্বারের’ বিষয়ে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আমি তাকে বলেছি, বাংলাদেশে ৬৩০টি থানা রয়েছে। প্রতি থানায় যদি প্রতিদিন ২০ জনও গ্রেফতার হয়, তাহলেও সংখ্যা অনেক হয়।
এছাড়া অন্যান্য সময় সারাদেশে গড়ে বিভিন্ন অভিযোগে ২ হাজার আটক বা গ্রেফতার হয়। সুতরাং সেই বিবেচনায় সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেফতারের সংখ্যার সঙ্গে তেমন একটা তারতম্য নেই। যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তারা পরোয়ানাভুক্ত আসামি এবং সন্দেহভাজন জঙ্গি বলে দাবি করেন তিনি। বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির কর্মী যদি কোনো মামলার আসামি হয়, তাহলে গ্রেফতার হতে পারে, তবে এ বিষয়ে আমার জানা নেই।
বার্নিকাট ‘হঠাৎ’ মন্ত্রণালয়ে এসে গ্রেফতারের বিষয়ে তথ্য চাইলেও তার আসার মূল কারণ অন্য বলে জানান তিনি। কারণ একটা ট্রেড প্রতিনিধি নিয়ে তিনি যাচ্ছেন। কয়েকদিন বাংলাদেশে থাকবেন না। এ সময় কিছু ইনফরমেশন শেয়ার করতে এসেছেন।
চট্টগ্রামের এসপিপতœী হত্যার তদন্তের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সন্দেহভাজন একজনকে ধরেছি। পুলিশ মনে করছে সে সেই তিনজনের একজন (মোটরসাইকেলের তিনজন)। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি