দেশসেরা হওয়ার স্বপ্নপূরণ করে এবার খেলার জন্য মাঠ চায় কিশোরী ফুটবলার প্রমি
ইছমত আরা : বাবা গার্মেন্টসের পিয়ন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে একজন প্রমি। ছোটকাল থেকেই ফুটবল খেলার প্রতি তার একটি শখ ছিল। ফুটবল সবসময়ই তাকে কাছে টানতো। তার স্বপ্ন ছিল, একদিন সে দেশসেরা হিসাবে নন্দিত হবে। লক্ষ্য পূরণের জন্য ছিল তার প্রাণপণ চেষ্টা। এবারের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পক্ষে খেলোয়াড়দের তালিকায় নাম উঠিয়েছিল। টুর্নামেন্টের ফাইনালে দৃষ্টিনন্দন এক গোল করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা গোল্ডকাপে নিজ দলকে চ্যাম্পিয়ন করায় দারুণ অবদান রেখেছেন কিশোরী ফুটবলার প্রমি আক্তার। এরপরই দেশসেরার খাতায় নাম লিখিয়েছে কিশোরী প্রমি।
প্রমি জানিয়েছে, তার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে রোনালদো, মেসি এবং নেইমার। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া দারুণ ফ্রি-কিক থেকে যখন প্রমি দারুণ এক গোল করলো, তখন দেখা গেল তার শিশুতোষ উদযাপন। ১০ নম্বর জার্সি পরিহিত প্রমি প্রথমে খানিকটা দৌড়ে দুই হাত মাথায় রেখে নৃত্যের তালে তালে গোল উদযাপনে মেতে ওঠে। পরে দুই হাত প্রসারিত করে আকাশের দিকে তাকিয়ে চক্কর দিতে দেখা যায়। তার সেই গোলেই নির্ধারিত হয় পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিরোপা। পাশাপাশি হয়ে উঠে তার স্বপ্নপূরণ। ম্যাচ শেষে সবাই প্রমিকে অঝোর ধারায় কাঁদতে দেখেছে। যদিও তার অশ্রু ছিল আনন্দের। ১০ বছরের প্রমি এ সময় হাতে ধরে ছিল লাল-সবুজ পতাকা।
প্রমি বলে, আমার কোচ মকবুল ও ম্যানেজার উজ্জ্বলের দারুণ প্রচেষ্টায় এ পর্যন্ত এসেছি। ছোট একটা মাঠে অনুশীলন করে এ পর্যন্ত আসতে পেরে গর্ববোধ করি। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার নিতে পেরে দারুণ খুশি ক্ষুদে এই ফুটবলার। শিরোপা নিতে মঞ্চে উঠে প্রমি আক্ষেপ করে বলেছে আমাদের মাঠ ভালো না। খেলার জন্য একটা মাঠ চায়। আর বেশি কিছু না। সম্পাদনা : ইকবাল খান