কলকাতা থেকে ফেরদৌসকে দ্রত দেশে ফেরার তাগিদ বাংলাদেশ হাই কমিশনের
ইমরুল শাহেদ : ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে নায়ক ফেরদৌস নির্বাচনী কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনে একটি রোড শো করেন। সঙ্গে ছিলেন টলিউডের নায়ক অঙ্কুশ ও নায়িকা পায়েল। শুধু রোড শো করেননি, তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাকে ভোট দেওয়ার আহŸানও জানান। এই আসনটির ভোটগ্রহণ হবে ১৮ এপ্রিল। ফেরদৌসের রোড শো এর ছবি বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দেখানো হয়েছে। মোশাররফ হোসেন নামে একজন নির্বাচনী এজেন্ট নিউজ১৮ টিভি চ্যানেলকে বলেছেন, ‘ফেরদৌস বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান অভিনেতা। লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের রোড শোতে অংগ্রহণের জন্য আমরা তাকে অনুরোধ করেছিলাম। তিনি সম্মত হন।’
বিদেশের একজন নাগরিক কীভাবে ভারতের ভোটপ্রচারে অংশ নিলেন, তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইয়নটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিষ্ট্রেশন অফিসের (এফআরআরও) কাছে ফেরদৌস সম্পর্কে প্রতিবেদন চেয়েছে। বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, কলকাতা এফআরআরও’র কাছে ফেরদৌস ভিসার শর্তাবলী লংঘন করেছেন কিনা তা বিস্তারিত জানতে চেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইয়নটিভি জানিয়েছে, ফেরদৌস ভারত সফর করছেন বিজনেস ভিসায়।
এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপিও। তবে বিতর্ক শুরু হতেই বাংলাদেশ হাই কমিশন অবিলম্বে ফেরদৌসকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কলকাতার সংবাদ প্রতিদিন। তবে ভারতের নির্বাচন কমিশন জানতে চেয়েছে কি ধরনের ভিসা নিয়ে ফেরদৌস ভারতে প্রবেশ করেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত গত রোববার। সেদিন বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ ও করণদিঘিতে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কানাইলাল আগরওয়ালের সমর্থনে প্রচার চলছিল। প্রচারে টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অঙ্কুশ ও পায়েল যেমন ছিলেন, তেমনই অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অভিনেতা ফেরদৌসও। হুডখোলা জিপে রোড শো করাই শুধু নয়, জনসভায় তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে ভাষণও দেন তিনি। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। সম্পাদনা : কাজী নুসরাত