২০২৫ সাল নাগাদ বিশ্বে কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার হবে ১৩ হাজার ৫২০ কোটি ডলারের, গবেষণা প্রতিবেদন
নূর মাজিদ : বাণিজ্যিক পণ্যবাজার গবেষণা নির্ভর ওয়েবসাইট আরঅ্যান্ডএম তাদের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দেয়। ‘ফার্ম ইকুইপমেন্ট মার্কেট বাই ট্রাক্টর পাওয়ার আউটপুট, ড্রাইভ, কম্বাইন্স, বেলার, ¯েপ্রয়ার, রেন্টাল অ্যান্ড রিজিওন-গ্লোবাল ফোরকাস্ট ২০১৯’ প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়। যার মুখবন্ধে বলা হয়েছে, বিশ্বে কৃষিখাতে যন্ত্রব্যবহার করে চাষাবাদের পরিমাণ বাড়ছে। কৃষি সক্ষমতা এবং উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যেই এই প্রবণতা এখন শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এর পেছনে বিশ্বের নানা দেশের সরকারের দেয়া কৃষিখাতের ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারণেই কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার চাহিদা আরও শক্তিশালী অবস্থান অর্জন করছে। মার্কেট অ্যান্ড রিসার্চ
বর্তমানে বৈশ্বিক কৃষি যন্ত্রপাতির বাজার বাৎসরিক ৪ দশমিক ০৪ দশমিক হারে বাড়ছে। ২০১৮ সাল থেকে এই হারে প্রবৃদ্ধি নিয়ে ২০২৫ সালে ১৩ হাজার ৫শ কোটি ডলারের বাজারে পরিণত হবে এই খাত। ২০১৮ সালে বাজারটির পরিধি ছিলো ১০ হাজার ২৫০ কোটি ডলার। বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি, খাদ্য সংকট, দক্ষ কৃষি শ্রমিকের সংকট এবং চাষাবাদ উন্নয়নের তাগিদ, কৃষি যন্ত্রপাতির চাহিদা বৃদ্ধির পেছনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। তবে আলোচিত প্রতিবেদনে শুধু ক্রয়-বিক্রয় নয়, বরং কৃষি যন্ত্রপাতির ভাড়া বা ইজারা বাণিজ্যকেও হিসেবের আওতায় আনা হয়। সবচাইতে বেশি বাণিজ্যিক ব্যবহার বাড়ছে শস্য কাটাই এবং মাড়াই করার স্বয়ংক্রিয় বেলার জাতীয় ট্র্যাক্টর এবং কীটনাশক ছেটানোর যন্ত্র বা ¯েপ্রয়ারের। এইদুটি ভারী কৃষি যন্ত্রের অত্যাধিক মূল্য বাজারের আরো বিকাশকে আংশিক বাঁধাগ্রস্ত করছে। কারণ এই দুটি যন্ত্রের মূল সরবরাহকারী দেশগুলো যেমন, যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন জোট স্থানীয় কৃষি শিল্পকে অগ্রাধিকার দেয়, আমদানির চাইতে। যার কারণে বাজারে অসম প্রতিযোগিতার আবহ কাজ করে। এই অবস্থা কাটিয়ে ওঠা গেলে চড়ামূল্য কমিয়ে আনা সম্ভব। বর্তমানে চীনের বাজারেই একটি মাঝারি আকারের ‘বেলার’ ট্র্যাক্টরের মূল্য প্রায় ৭ হাজার ৮০০ ডলার। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউতে তৈরি একই ধরণের কৃষি যন্ত্রের দাম প্রায় দ্বিগুণ। বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে স্বল্পমূল্যের চীনা কৃষিযন্ত্র এখন চীনের বাজারে প্রবেশে অতিরিক্ত শুল্কের মুখে পড়ছে। যা পণ্যটির দামও বাড়িয়েছে মার্কিন বাজারে। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব