শ্রীলংকায় হামলার সঙ্গে ক্রাইস্টচার্চ হামলার কোনো সম্পর্ক খুঁজে পায়নি নিউজিল্যান্ড, জানালেন জ্যাসিন্ডা
আসিফুজ্জামান পৃথিল : এক সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আর্ডের্ন জানিয়েছেন, তার দেশ ক্রাইস্টচার্চ হামলার সঙ্গে শ্রীলংকায় চালানো জঙ্গী হামলার কোন সম্পর্ক খুঁজে পায়নি। শ্রীলংকা সরকারের দাবি, ক্রাইস্টচার্চে চালানো সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতেই শ্রীলংকায় এই ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে। রয়টার্স, এনডিটিভি।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জ্যাসিন্ডা আর্ডের্ন বলেন, ‘শ্রীলংকার দাবির বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো সরকারি বা গোয়েন্দা তথ্য নেই। ঘটনার তদন্তের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে দেশটি। কাজেই এখন আমরা একটুখানি পিছিয়ে থাকছি। তদন্ত যা করার তারা করুক। তবে যা বলা হচ্ছে, তা নিয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্যই নেই।’ মঙ্গলবার শ্রীলংকার প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান বিজেবর্ধন দেশটির পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে দাবি করেছেন, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হওয়া হামলার প্রতিশোধ নিতে শ্রীলংকায় হামলা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তিনি এ মন্তব্য করেছেন বললেও এর সপক্ষে কোনো উদ্ধৃতি বা সাক্ষ্য উপস্থাপন করেননি।
এদিকে হামলার পরে শ্রীলংকা এবং নিউজিল্যান্ডের আচরণেও বড় ধরনের অমিল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নিউজিল্যান্ড ক্রাইস্টচার্চের হামলাকে যেভাবে শক্তহাতে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিয়েছিলো, শ্রীলংকা তেমনটি করতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছে রয়টার্স। সহমর্মিতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের ভিত্তিতে নিউজিল্যান্ড খুব সহজেই হামলার ক্ষতকে হালকা করতে পেরেছিলো। কিন্তু শ্রীলংকা তা পারেনি। বরং নিজেদের মধ্যেই কাঁদা ছোড়াছুড়ি করে তারা বিষয়টিকে আরো ঘোরালো করে ফেলেছে। এক্ষেত্রে দেশটি সবচেয়ে বেশি অভাব বোধ করেছে জ্যাসিনন্ডা আর্ডেনের মতো একজন ব্যক্তিত্ববান নেতার।
গত রোববার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বো ও এর আশপাশের তিনটি গির্জা, তিনটি পাঁচ তারকা হোটেলসহ মোট আট জায়গায় হামলা চালানো হয়। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৫৯ জন। আহত পাঁচ শতাধিক। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের উৎসব ইস্টার সানডেকে লক্ষ্য করে চালানো হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশসহ অন্তত আটটি দেশের নাগরিক রয়েছেন। সম্পাদনা : ইকবাল খান