সেমিফাইনালে খেলা আমাদের জন্য অসম্ভব নয়, বললেন মাশরাফি
এল আর বাদল : বিশ্বকাপ ক্রিকেট সামনে রেখে নিজেদের শেষবারের মতো ঝালাই করতে কাল বুধবার ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট খেলতে আয়ারল্যান্ড উড়াল দিচ্ছে মাশরাফির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে লড়াই শেষে বিশ্বকাপে অংশ নিতে ইংল্যান্ডে যাবে টাইগার সেনারা।
দীর্ঘদিন যাবত অনুশীলন করে কতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ, তা জানাতেই গতকাল সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তুজা। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের লক্ষ্য জিজ্ঞেস করতেই কালক্ষেপণ করলেন না অধিনায়ক। বললেন, বরাবরের মতোই ভালো খেলার স্বপ্ন আমাদের। তবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা আমাদের জন্য অসম্ভব কিছু নয়। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস এই দল সেরাটা দিবে। দল শক্তিশালী হলেই খেলা ভালো হয় না। দলের দুর্দান্ত পারফরমেন্সের জন্য বেশ কয়েকজন অলরাউন্ডার সেরাটা দিলেই লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়।
ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চে নামার আগে কতটা উপযোগী হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ? এই প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফি বলেন, ত্রিদেশীয় সিরিজ কতটা সাহায্য করবে আমরা সেটা স্পষ্ট করে বলতে পারছি না। গতবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে আয়ারল্যান্ডেই সিরিজ খেলে গিয়েছিলাম। যাওয়ার পর পেয়েছি ভিন্ন উইকেট। একদমই ভিন্ন উইকেট ছিল। আশা করবো যে ইংল্যান্ডের উইকেটের সঙ্গে আয়ারল্যান্ড উইকেটের কিছুটা হলেও মিল থাকবে।
অধিনায়ক বলেন, আমি মনে করি, বিশ্বকাপের এই দলটা গত কয়েক বছর ধরে একসাথে খেলছে। আমরা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছি। আশাকরি এই দল নিয়ে এবারও ভালো কিছু করবো। সৌম্য সরকার প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, ডিপিএলে শেষ দুই ম্যাচে সে ভালো দুইটা ইনিংস খেলেছে। তার মানে সে পুরোপুরি ফর্মে ফিরেছে আমি এটা বলবো না। ও গত বিশ্বকাপেও অসাধারণ খেলেছিল। তখন তো বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল না। এবারতো সেটাও আছে। মাঝে চার বছর অনেক খেলেছে। আমি আশা করি, এবারও সে ভালো খেলবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বকাপের দলে থাকা কয়েকজনকে নিয়ে সমালোচনা আছে। যেমন লিটন দাস, সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান। অথচ এদের উপর আমার আস্থা রয়েছে। তামিম আমাদের দলের সেরা ব্যাটসম্যান। ও টিকে গেলে তিনশ রানও পার হয়ে যায়। ও যদি ৪০ ওভার খেলে ফেলে এরপর বাকি ১০ ওভারে দ্রুত রান উঠাতে হয়। যেটা অন্য দলের খেলোয়াড়েরা সহজেই করে। আমাদেরও সেটা করতে হবে। দলে যাদের জায়গা হয়েছে তাদের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলেও জানান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক।
এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ : মাশরাফি
২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পান মাশরাফি বিন মোর্তুজা। এরপর ২০১১ বিশ্বকাপ বাদে প্রতিটিতেই ছিলো তার সরব উপস্থিতি। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। তৃপ্তির এমন সংবাদের সঙ্গে বিষাদও ছুঁয়ে যাচ্ছে মাশরাফির ক্যারিয়ারকে। কারণ এটাই যে তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ।
২০১৯ সালের বিশ্বকাপই যে মাশরাফির শেষ, সেটা অনেকের ধারনাতেই ছিল। গতকাল সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই কথাই জানালেন মাশরাফি। এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ।