বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে বৈশি^ক পুঁজিবাজার থেকে হারিয়ে গেছে ২ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার!
আসিফুজ্জামান পৃথিল : আরও ২০ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যে নতুন করে আরো ১৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১ বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই ‘বাণিজ্যযুদ্ধের’ প্রভাব পড়েছে বিশে^র সব ধরণের ব্যবসার ক্ষেত্রেও। বিশে^র বৃহত্তম দুই অর্থনীতির মধ্যে চলমান এই টানাপোড়েনে বড় ধরণের ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে বিশ^ পুঁজিবাজার। বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশ^ পুঁজিবাজারের ক্ষতি হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার! সূত্র : ব্লুমবার্গ
বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনা চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে এই শুল্ক কার্যকর করলো। এর প্রেক্ষিতে চীনও প্রতিশোধের হুমকি দিয়ে রেখেছে। এমএসসিআইএসি সূচক থেকে ২ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার হারিয়ে গেছে। জাপানের টপিক্স সূচক থেকে ২০১৯ সালেই অর্ধেক অর্থ হারিয়ে গেছে। গত ক্রিসমাসের আগে এসঅ্যান্ডপি ৫০০ গত বড়দিনের আগে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ সপ্তাহ পার করে। এরপরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পািেরনি বাজারটি। বিদেশী বিনোয়গকারীরা দ্রুতই চীনা শেয়ার থেকে হাত গুটিয়ে নিচ্ছেন। নতুন শুল্ক আরোপের ঠিক আগে বৃহস্পতিবার হংকং স্টক এক্সচেঞ্চে ৪৪০ কোটি ইউয়ান মূল্যের শেয়ার পানির দরে বিক্রি করে দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
দুই বৃহৎ অর্থনীতির এই ধরণের অপরিনত লড়াইয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের মতে মুক্তবাজার অর্থনীতির এই যুগে এই ধরণের বালখিল্যতা কোন দায়িত্বশীল পক্ষের শোভা পায় না। এই অর্থনৈতিক ক্ষতির দায়ভার বিনিয়োগকারীদেরই নিতে হয়। যদি চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র এই ধরণের আচরণ অব্যহত রাখে, তবে পুঁজিবাদি অর্থনীতি অপরিমেয় ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। সম্পাদনা : ইকবাল খান