যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে ঘাটতি
আসিফুজ্জামান পৃথিল : ইতিহাসের সর্বনি¤œ বেকারত্ব চলছে এখন যুক্তরাষ্ট্রে। সেইসাথে দেশটির দ্রব্যমূল্যও সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রণে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ব্যাপারে কৃতিত্ব নিতে বেশ পছন্দ করেন। কিন্তু প্রদীপের নিচেই আছে অন্ধকার। ট্রাম্পের উচ্চ প্রবৃদ্ধির ফলে দেশটিকে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত কর রেয়াত। ফলে রাষ্ট্রীয় দেনা ও ঘাটতির পরিমাণ বাড়ছে। এএফপি।
২০১৮ ও ১৯ সালের প্রথম ৩ মাসে বড় ধরণের উলম্ফনের পর এ বছর অর্থনীতির গতি কমে আসার পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। দশটির বাজেট ঘাটতি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ২০০৯ সালের বিশ^ মন্দাবস্থার পর থেকে এখন পর্যন্ত ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ লাখ কোটি ডলার। ট্রাম্প সবসময়ই ৩ শতাংশ বা এর অধিক প্রবৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। এজন্য তাকে বেশি কররেয়াত দিতে হয়েছে। এই অর্থ ব্যয় হয়েছে বিনিয়োগ আর বেকারত্ব দূরীকরণে। তবে এই উচ্চাকাক্সক্ষার দায় শোধ ইতোমধ্যেই করতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের উচ্চাকাক্সক্ষা পূরণে সঞ্চয়ে একবারেই মনোযোগি নয় ট্রাম্প প্রশাসন। তাই কোনো কারণে মন্দা শুরু হলে বড় ধরণের অর্থ সঙ্কটে পড়বে সরকার।
বিগত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানীতেই ঘাটতির পরিমাণ ছিলো ২০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। যা বিগত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪২ শতাংশ বেশি। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের ঘাটতি আগের অর্থবছরের ঘাটতিকে ছাড়িয়ে গেছে। এই ৮ মাসেই দেশটির বাজেট ঘাটতি ৭৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ হাজার ৬০০ কোটি ডলার বেশি। সেপ্টেম্বরে অর্থবছর শেষ হতে হতে তা আরও বাড়বে নিশ্চিতভাবেই। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব