কুলাউড়া থেকে ঢাকা ট্রেন চলাচল শুরু
স্বপন দেব ও রাহেলা সিদ্দিকা : মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে দুটি তদন্ত কমিটি করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো. শরিফুল আলম এ তথ্য জানান।
দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রীমঙ্গল স্টেশন মাস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস কুলাউড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার মাধ্যমে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে বরমচালে রেললাইন মেরামত না হওয়া পর্যন্ত সিলেটের সব ট্রেন কুলাউড়া থেকে চলাচল করবে।
রোববার রাত পৌনে ১২টায় উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের বড়ছড়া ব্রিজ অতিক্রম করাকালে ট্রেনটি দুর্ঘটনা কবলিত হয়।
বরমচালের শাহান মিয়ার ৯৯৯ নম্বরে মোবাইল করে তাৎক্ষণিকভাবে কুলাউড়া থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে কুলাউড়া থানা পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের পুরো ইউনিটসহ অন্তত ১৩টি ইউনিট উদ্ধার অভিযানে অংশ গ্রহণ করে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয়দের চেষ্টায় দ্রুততম সময়ে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা সম্ভব হয়েছে।
গুরুতর আহত যাত্রীদের কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতাল, মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ব্রাহ্মণবাজার মুসলিম এইডস হাসপাতাল ও ব্রাহ্মণবাজার মিশনারিজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। প্রায় শতাধিক আহত যাত্রী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ পর্যন্ত নিহত ৪ জন যাত্রীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। নিহতরা হলেন- কুলাউড়া পৌর সভা এলাকার মো. আব্দুল বারি মিয়ার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫), সিলেট নার্সিং কলেজে ছাত্রী মংলাবাজার থানার আব্দুল্লাহপুর এলাকার আব্দুল বারি মিয়ার মেয়ে ফাহমিদা ইয়াছমিন ইভা (২০) ও বাগেরহাট জেলার মোল্লারহাট থানার হাসজুড়ি ভান্দরখোলা গ্রামের মো. আকরম মোল্লার মেয়ে একই কলেজের ছাত্রী সানজিদা বেগম (২০)।
এ ঘটনার পর মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল ও রেলওয়ে সচিব মো. মোফাজুল হোসেন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. রফিকুল আলম ঘটনাস্থল ও কুলাউড়া এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল জানান, ট্রেনটি ৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়েছে। যার মধ্যে একটি বগি সেতু ভেঙে নিচে পানিতে পড়ে যায়। ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্সের স্থানীয় কর্মকর্তারা ৫ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান