তুইপ্রাল্যান্ডের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আইপিএফটির ডাকে তুইপ্রাল্যান্ডের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ শান্তিতে কাটল। বুধবার ব্যাপক পুলিশ, টিএসআর, সিআরপিএফের উপস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টার অবরোধে বড়মুড়া পাহাড়ে জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল করেনি। এদিকে, অবরোধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে বাম সমর্থক সংগঠনগুলি। আগরতলায় এমবিবি কলেজ থেকে এসএফআই, টিএসইউর উদ্যোগে মিছিল করে ছাত্রছাত্রীরা। বড়মুড়া পাহাড়ের ৬ কিলোমিটারের মধ্যে তিন জায়গায় অবরোধে বসেন আইপিএফটির কর্মীসমর্থকেরা। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল খামতিংবাড়িতে। সব মিলিয়ে সাত থেকে আট হাজার কর্মীসমর্থক হাজির ছিলেন। জানা যায়, অবরোধ ঘিরে পরিস্থিতি ঠিকঠাক রাখতে মঙ্গলবার রাত থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ টিএসআর বাহিনী মজুত করা হয় বড়মুড়া পাহাড়ে। ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় অবরোধ। নেতারা পৃথক তুইপ্রাল্যান্ডের ম্যাপ নিয়ে অবরোধে বসেন। দলের সম্পাদক রাজেশ্বর দেববর্মা দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকার যেন অবিলম্বে পৃথক তুইপ্রাল্যান্ডের জন্য সংসদে বিল আনে। জানা যায়, পৃথক তুইপ্রাল্যান্ডের দাবিতে দলের নেতারা যে ম্যাপ দেখান তাতে গোটা এডিসি এলাকা সবুজ রঙের চেহারা দেওয়া হয়। আর বাকি ৭ টুকরো লাল রঙ দিয়ে ঢাকা হয়। অবরোধ থেকে কয়েকজন নেতার দাবি, ত্রিপুরা থেকে সিপিএমের উচ্ছেদ করাও তাদের লক্ষ্য। ভোর থেকে নিরাপত্তা বাড়ায় পুলিশ প্রশাসন। সকালেই বড়মুড়া পাহাড়ে ছুটে যান আইজি (আইন শৃঙ্খলা) অনুরাগ ধ্যানকর, ডিআইজি উত্তম মজুমদার, পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ সপ্তর্ষিসহ পুলিশ টিএসআরের অনেক অফিসার। আজকাল
উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম জেলা প্রশাসন ও জিরানিয়া মহকুমা প্রশাসনের অফিসাররাও হাজির ছিলেন। ব্যাপক নিরাপত্তা ঘেরাও এর পর আইন শৃঙ্খলার কোনও অবনতি হয়নি। অবরোধকারীদের এক প্রকার ঘেরাও দিয়ে রাখেন নিরাপত্তাকর্মীরা। এ কারণে কোনও রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা হওয়ার সুযোগ ছিল না। এক প্রশ্নের উত্তরে আইপিএফটির সভাপতি এনসি দেববর্মা জানান, ‘গণতান্ত্রিক অবরোধ’ সফল। পৃথক তুইপ্রাল্যান্ডের দাবি পূরণ না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এদিকে, ২৪ ঘণ্টার অবরোধ ঘিরে এলাহি খাবারের আয়োজন ছিল। অবরোধ স্থানের পাশে দুপুর এবং রাতের জন্য ভাল খাবারের ব্যাবস্থা করা হয়। সকালে তেলিয়ামুড়া থেকে মালবাহী ট্রেন জিরানিয়া আসার পথে চম্পকনগরের বাংসাই এলাকায় আটকায় আইপিএফটির কর্মীসমর্থকেরা। ঢিল–ছোঁড়া হলে ট্রেনটি আবার তেলিয়ামুড়া টেনে নেওয়া হয়। শিলচর থেকে সকাল ৯ টায় যথারীতি আগরতলার উদ্দেশে রওনা দেয়। ধর্মনগর আসার পর ট্রেন আবার শিলচর ফিরে যায়। অন্যদিকে সকাল ৬টায় আগরতলা থেকে ট্রেন রওনা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে মালবাহী ট্রেনে ঢিল দেওয়ার পর আর চালানো হয় নি। জাতীয় সড়কের বড়মুড়া দিয়ে যানবাহন চলাচল না করতে পারলেও বিকল্প পথ দিয়ে গাড়ি চলাচল করেছে। ধর্মনগর, কুমারঘাট আমবাসা হয়ে বহু গাড়ি তেলিয়ামুড়া, মোহরছড়া, কল্যাণপুর, খোয়াই, হেজামারা , মোহনপুর হয়ে আগরতলা আসে। কৈলাসহর থেকে কমলপুর, খোয়াই হয়েও বহু গাড়ি আগরতলা আসে।