এবার রাজধানীতে ধর্ষণের পর ১০ বছরের সায়মাকে শ^াসরোধে হত্যা, আটক ৬
মাসুদ আলম ও মোস্তাফিজুর রহমান : রাজধানীর ওয়ারী বনগ্রামে শিশু সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৬) ধর্ষণের পর গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ। শনিবার দুপুরে ওই শিশুর মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এ ঘটনায় বাড়ির মালিকসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোহেল মাহমুদ বলেন, শিশুটির মুখে কামড়ের দাগ পাওয়া গেছে। যৌনাঙ্গে ক্ষত চিহ্ন থাকায় আরও কিছু পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে পূর্ণাঙ্গ তথ্য দেওয়া হবে। শিশুটির বাবা আব্দুস সালাম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় মাগরিবের আজানের সময় নামাজ আদায়ে মসজিদে যান তিনি। মসজিদ থেকে ফেরার সময় সন্ধ্যার নাশতা কিনে বাসায় ফেরেন তিনি। বাসায় ফেরে দেখতে পান সায়মা নেই। সন্ধ্যার পর তাদের ৬ষ্ঠতলার ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সায়মা তার মাকে বলেছিল ‘উপরে পাশের ফ্ল্যাটে খেলতে যাচ্ছে। এরপর থেকে নিখোঁজ হয় সায়মা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নবনির্মিত ওই ভবনের ৯তলায় খালি ফ্ল্যাটের রান্না ঘরে গলায় রশি দিয়ে বাঁধা ও মুখ রক্তাক্ত অবস্থায় সায়মাকে দেখতে পায়। সিলভারডেল স্কুলে নার্সারিতে পড়া সায়মার বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরে ব্যবসা করেন। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট সায়মা। বড় ছেলে দেশের বাইরে থাকে। বড় মেয়ে ইউনিভার্সিটি থেকে বাড়িতে আসার পর সায়মাকে পড়তে বসায়। আসরের পর পড়াশোনা শেষ করে মাগরিবের নামাজের সময় খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সায়মা। তাদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর শিবপুর ।
ওয়ারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সায়মা প্রতিদিন বিকালে নিচে ও ভবনের উপরের ফ্ল্যাটে অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে যেত। কিন্তু ওই দিন খেলতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। শনিবার শিশুটির বাবা বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ওয়ারী থানায় একটি মামলা করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির মালিক, নিরাপত্তাকর্মী ও তার ছেলেসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। অতিদ্রুত এ হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন করা হবে।