সিঙ্গাপুরে বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার ফ্ল্যাট
ইয়াছির আরাফাত : সুউচ্চ ও সুরম্য অট্টালিকা। আকাশছোঁয়া ভবনের সবচেয়ে ওপরের তিনটি তলায় রয়েছে মোট পাঁচটি শয়নকক্ষ। আছে সুইমিংপুল, ৬০০ বোতল ওয়াইন ভরা মদের ভান্ডার (পাব সেন্টার), ম্যাসাজ সেন্টার ও ব্যক্তিগণ বাগান। সুপার ওই পেন্টহাউসটি (ফ্ল্যাট) সম্প্রতি বিক্রি হয়েছে ৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার বেশি। সিঙ্গাপুরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ওয়ালিক রেসিডেন্স ভবনে এটি অবস্থিত। বলা হচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে দামি পেন্টহাউসটি কিনেছেন যুক্তরাজ্যের কোটিপতি ব্যবসায়ী স্যার জেমস ডাইসন। সূত্র : প্রথম আলো অনলাইন
জানা গেছে, ৬৪ তলাবিশিষ্ট ওয়ালিক রেসিডেন্স ভবনের ৬২ থেকে ৬৪ তলা পর্যন্ত পেন্টহাউসটির আয়তন ২১ হাজার ফুটের বেশি। যুক্তরাজ্যের বেক্সিটপন্থী ব্যবসায়ী ডাইসন গত জানুয়ারিতে নিজেদের ইলেকট্রনিক পণ্য তৈরির প্রতিষ্ঠানের প্রধান সদর দপ্তর লন্ডন থেকে সরিয়ে এশিয়ার সুপার পাওয়ার অর্থনীতির দেশ সিঙ্গাপুরে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন। বিপুল অর্থ খরচ করে ওই পেন্টহাউসটি কিনে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে ডাইসনের প্রতিষ্ঠান। এটির যৌথ মালিক ডাইসন ও তার স্ত্রী। ৯৯ বছরের জন্য তারা পেন্টহাউসের মালিকানা লাভ করেন। এটি কেনার চুক্তিপত্রে সই হয় গত ২০ জুন।
সিঙ্গাপুরের স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে সিঙ্গাপুরে একটি পেন্টহাউস কিনেছিলেন ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা এদুয়ার্দো সাভেরিন। এ জন্য তাকে ৬ কোটি সিঙ্গাপুরী ডলার খরচ করতে হয়েছিলো। সেই হিসাবে ডাইসনের পেন্টহাউসের মূল্য ৭ কোটি ৪০ লাখ সিঙ্গাপুরী ডলার। ডাইসনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ডাইসন তার নিজের ব্যবসা এশিয়ায় সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে সেখানে সম্পদ কেনা কোনো বিস্ময়কর ঘটনা নয়।