প্রধানমন্ত্রীর কাছে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরতে চান আ ব ম ফারুক
স্বপ্না চক্রবর্তী : পাস্তুরিত তরল দুধে এন্টিবায়োটিক নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে আলোচিত হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ফার্মেসি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আ ব ফারুক বলেছেন, আমাদের গবেষণার ফলাফল বিস্তারিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরার সুযোগ হয়নি। যেহেতু তিনি দেশের বাইরে আছেন সেহেতু আমরা অপেক্ষা করছি তার দেশে ফেরার। তবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হয় নি। বার বার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল কেউই ফোন রিসিভ করেন নি।
মঙ্গলবার লন্ডনে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক টেলিকনফারেন্সে ঢাকায় আওয়ামী লীগের বিশেষ জরুরি সভায় যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ডেঙ্গু, বন্যা, গুজব প্রতিরোধ, পাস্তুরিত দুধসহ বিভিন্ন ইস্যুতে নির্দেশনা দেন। এ সময় অন্যান্য বিষয়ের সাথে সম্প্রতি সমালোচিত পাস্তুরিত তরল দুধে এন্টিবায়োটিক পাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গবাদি পশুকে রোগমুক্ত রাখতে অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয়। সেক্ষেত্রে দুধে কিছুটা অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি থাকতে পারে। তবে দুধের যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে পরিত্রাণ পেতে সরকার কাজ করছে। তিনি বলেন, আমি জানি না হঠাৎ করে একজন প্রফেসর সাহেব কী পরীক্ষা চালালেন, আর এই পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে আদালতে রিট হলো। একে একে সব কোম্পানির দুধ উৎপাদন বন্ধ। এর ফলে দুধের ঘাটতিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। আবার যারা খামার করছে তারাই বা কীভাবে জীবনযাপন করবে, আর গরুকেই বা কী খাওয়াবে। আমদানিকৃত গুঁড়ো দুধের ব্যাপারে কোনও পরীক্ষা হয় না। তাই গুঁড়ো দুধ আমদানিকারকদের কোনও কারসাজি এখানে আছে কি-না সেটিই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের বাই আছেন। তাই তার কাছে গবেষণার সঠিক তথ্য তুলে ধরা সম্ভব নয়। তিনি দেশে আসলে তার কাছে প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরবো আমরা। তখনই এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো। তবে আমাদের গবেষণায় পাস্তুরিত তরল দুধে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিকসহ সীসা পেয়েছি। আমরা গবেষণার ফলাফল প্রকাশের সময়ও এই কথা বলেছিলাম এখনও একই দাবি করছি।
তবে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পাস্তুরিত তরল দুধ নিয়ে গবেষণা করা অপর সংস্থা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলে কর্তৃপক্ষের কেউ মুঠোফোন রিসিভ করেননি।