রপ্তানি বাড়লেও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমছে না
জিয়ারুল হক : রপ্তানি বাড়লেও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমছে না। কারণ হিসেবে অশুল্ক বাধাসহ দেশীয় পণ্যে বৈচিত্র্য না থাকার কথা সামনে আনছেন বিশ্লেষকেরা। তবে ভারতে বিশ্বের নামি-দামি ব্র্যান্ডগুলো বিক্রয় কেন্দ্র খুলছে বলে রপ্তানি আরও বাড়ার আশা ব্যবসায়ীদের। এখন এ বিষয়ে ঢাকা-দিল্লির কার্যকর পদক্ষেপ চান তারা। ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি
চীনের পর ভারত থেকেই সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। আর এর বড় অংশ শিল্পের কাঁচামাল, মূলধনি যন্ত্রপাতি ও খাদ্যপণ্য। প্রায় সব পণ্যে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দিলেও অশুল্ক বাধার কারণে কাক্সিক্ষত মাত্রায় রপ্তানি বাড়ানো যাচ্ছে না ভারতে।
আমদানির অনুপাতে রপ্তানি না বাড়ায় বাড়ছে দু-দেশের বাণিজ্য ঘাটতি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ভারতের সঙ্গে এ ঘাটতি প্রায় সাড়ে পাঁচশো কোটি ডলার। পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭৭৫ কোটি ডলারে। তবে তৈরি পোশাকে ভর করে গত অর্থবছরে ভারতে রপ্তানি ছাড়িয়েছে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি। আগের অর্থবছরে তা ছিল ৮৭ কোটি ডলার।
এ অবস্থায় শিল্পের প্রসারে আমদানিকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়ে, রপ্তানি সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘একটি মাত্র পণ্য দিয়ে বাণিজ্য বাড়ানো যাবে না। ফলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো যাবে না। ভারত থেকে প্রতিদিন শতাধিক পণ্য আনলেও আমরা একটি মাত্র পণ্য বেশি দিতে পারি। তবে ভারত অনেক বড় দেশ। বাণিজ্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ডকুমেন্ট বিনিময়, বন্দর উন্নয়ন, দ্রুত মানুষও যেতে পারবে। পণ্যও যেতে পারবে।’
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজার বড় হওয়ায় নানা ধরনের পণ্য রপ্তানির সুযোগ আছে। এছাড়া ভারতে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপনের প্রসঙ্গ সামনে এনে, সেখানে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা বাড়বে বলেও আশা তাদের।’
বিপিজিএমইএর সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সীমান্তে অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। আমাদের অবকাঠামো ভালো থাকলেও ভারতের দিকে নেই। রপ্তানি করতে হলে সাগরে করতে হয়। সময় বেশি লাগে। ভারতের ট্রাক এখানে এসে আনলোড হয়। ভারতের বন্দরে আমাদের মতো সুবিধা দিতে হবে। ভারতে বিশ্ব নামি দামি ব্র্যান্ড স্টোর খুলছে, তাই আমাদরে পণ্যের চাহিদা বাড়বে। ভারতের স্থানীয় বাজার বড় এবং দামও বেশি।’
বিশ্বব্যাংকের গবেষণাও বলছে, রপ্তানি বাধাগুলো দূর করা গেলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসবে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানো সম্ভব অন্তত দেড় গুণ। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান