৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মাসেতু রেললাইনের নির্মাণ কাজ শুরু
মধ্যাঞ্চল প্রতিনিধি : ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মাসেতু রেল লাইনের জন্য দুই পাড়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশা, পদ্মাসেতু চালুর সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ-মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জন্য রেললাইন চালু করা সম্ভব হবে। এটি চালু হলে ২১টি জেলার জনগোষ্ঠী ও দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বড় ধরনের অবদান রাখবে বলে মনে করছে প্রশাসন। পায়রাসমুদ্র বন্দরের সাথে এই রেললাইনযুক্ত হলে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র বদলে যাবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠির স্বপ্নের পদ্মাসেতুর জাজিরা ও মাওয়া প্রান্তের দুইপাড়ে পুরোদমে শুরু হয়েছে রেললাইন নির্মাণ কাজ। ইতিমধ্যে ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলার জমি অধিগ্রহণ শেষে রেললাইনের জন্য মাটি ভরাটের কাজ চলছে। পাশাপাশি পুরো রেললাইন নির্মাণ করতে এতে যুক্ত করা হয়েছে আধুনিক সব যন্ত্রপাতি। ঢাকা বিভাগের ৬ জেলায় বিদ্যমান রেলস্টেশন ছাড়াও ঢাকার কেরানীগঞ্জ, নিমতলা, মুন্সীগঞ্জের শ্রীগর, মাওয়া, শরীতপুরের জাজিরা ও মাদারীপুরের শিবচরেও যাত্রীদের সুবিধার্থে নতুন ৬টি রেলস্টেশন স্থাপন করা হবে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, মুন্সীগঞ্জ, শরিয়তপুর, মাদারীপুর, ফরিদপুরের ৮৭টি মৌজার ওপর দিয়ে নির্মিত এই রেলপথটি সরাসরি চলে যাবে পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্রবন্দরে। এতে পায়রা বন্দরকে ব্যবহার করে পুরো দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যর চিত্র বদলে যাবে। এতে খুশি পশ্চিম-মধ্য-দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ।
চায়না রেলওয়ে গ্রুড লিমিটেডের সাইট ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হাসান বলেন, আমরা আশা করছি, যে গতিতে রেললাইন নির্মাণের কাজ আমরা শুরু করেছি, তাতে পদ্মা সেতুর সাথে সাথেই রেললাইনের ও কাজ শেষ করতে পারব। তখন পুরো দেশের মানুষ এই রেলেরসুবিধা ভোগ করতে পারবে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ নুর হোসেন সজল বলেন, সরকারের সকল মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যতভাবে সরকারকে সহযোগিতা করা যায় আমরা তা সবই করছি। আশা করছি, সঠিক সময়ে রেললাইনের কাজ শেষ হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পটিতে ২১৫ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ, ২৩ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, ৬৬টি মেজর ব্রিজ, ২৪৪টি মাইনর ব্রিজ ও কালভার্ট, একটি হাইওয়ে ওভারপাস, ২৯টি লেভেল ক্রসিং, ৪০টি আন্ডারপাস, ১০০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী গাড়ি সংগ্রহসহ থাকছে আধুনিক নানা সুবিধা।