যৌননিপীড়ন বিরোধী কমিটির সঠিক বাস্তবায়নের অভাবে সিটি ব্যাংকের মতো ঘটনা ঘটছে, বললেন সালমা আলী
মঈন মোশাররফ : সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মাশরুর আরিফিন, হেড অফ কাস্টমার রিলেশন, আব্দুল ওয়াদুদ মেনেজম্যান্ট ও কোম্পানি সেক্রেটারি কাফি খানের বিরুদ্ধে নারী সহকর্মীর অভিযোগ তাদের আপত্তিজনক আচারণের। একাত্তর টিভি
সিটি ব্যাংকের সাবেক সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট মনিরা সুলতানা পপি বলেন, আব্দুল ওয়াদুদ লিফট, সিড়ি, গাড়ির ভিতরে এবং অফিস চলাকালীন রুমের ভেতরে কটূক্তি করা, গায়ে হাত দেয়ার ঘটনা ঘটেছে আমার সঙ্গে। এদের মধ্যে আরেক জন হচ্ছেন কোম্পানি সেক্রেটারি কাফি খান। মাসরুর আরিফিনের অত্যাচারে ফ্রেস রুমে পর্যন্ত যেতে পারিনি। এ বিষয়ে মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সালমা আলী বৃহস্পতিবার একাত্তর টিভিকে বলেন, সংবিধান এবং আইনে যা আছে তা প্রত্যেক নাগরিক মেনে চলবে এটাই নিয়ম। সংবিধানে নারীর সমঅধিকারের কথা বলা আছে। এবং সেখানে যৌন হয়রানির ধারা চিহ্নিত করা আছে। ২০০৮ সালে হাইকোর্টের রায় আছে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়ন বিরোধী কমিটি বাস্তবায়নের। অথচ তা সঠিক ভাবে হচ্ছে না। তাই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।
তিনি বলেন, আমি অবাক হই সিটি ব্যাংকের মতো এতো বড় প্রতিষ্ঠানে মাত্র এক বছর আগে যৌন নিপীড়রন বিরোধী কমিটি করা হয়েছে। সিটি ব্যাংকে যৌন নিপীড়ন বিরোধী কমিটির প্রধান মাহিয়া জুনায়েদ বলেছেন, তার কাছে ভোক্তভোগী কোন লিখিত অভিযোগ নেই। সালমা আলী বলেন, কিন্তু আমার কথা হচ্ছে অভিযোগ লিখিত দিতে হবে এমন কোন নিয়ম নেই।
তিনি আরও বলেন, নিয়ম হচ্ছে গোপন বক্সে চিঠি ফেলতে হবে। এই অভিযোগ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের নাম ও চেহারা দেখানো যাবে না। এখানে তা অমান্য করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন বলছে ভূক্তভোগীর কাপড় ঠিক ছিলো না। এটা সব থেকে আপত্তিকর। এ ধরনের উক্তি করার কোন সুযোগ নেই। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন