অনুমতি ছাড়া সীতাকুন্ডে রড তৈরির সৃষ্ট বর্জ্যের দুটি রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট স্থাপন, দুষিত হচ্ছে পরিবেশ
হ্যাপি আক্তার : চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে রড তৈরিতে সৃষ্ট বর্জ্য বা মিলস্কেলের দুটি রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট করেছে চীনা দুটি প্রতিষ্ঠান। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে গোপনে প্রতিষ্ঠানগুলো স্থাপন করা হয়েছে। চ্যানেল টোয়েন্টিফোর ১১:০০
বন্ধ দুটি ইস্পাত কারখানার জায়গা ব্যবহার করে এসব প্ল্যান্ট চালু করা হয়েছে। সবার নজর এড়াতে লোহা পোড়ানোর কাজটি করা হচ্ছে রাতে। এতে মারাত্মক দূষণ হচ্ছে কারখানার আশপাশের পরিবেশে।
মিলস্কেল রড তৈরিতে সৃষ্ট বর্জ্য। যা রিসাইক্লিং করে পুনরায় তৈরি হয় রড তৈরির কাঁচামাল। পরিবেশ দূষণের দায়ে এমন রিসাইক্লিং কারখানাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে চীন। এ সুযোগে হাঙা ইন্টারন্যাশনাল নামে দেশটির একটি প্রতিষ্ঠান গোপনে রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের কদমরসুল এলাকায় বন্ধ থাকা সালেহ কার্পেট কারখানার অভ্যন্তরে।
শুধু এটিই নয়, অদূরে শীতলপুরে বন্ধ থাকা পাকিজা রি-রোলিং মিলের ভিতরেও আরো একটি প্ল্যান্ট গড়ে তুলেছে আরেক চীনা প্রতিষ্ঠান জিন মা বিডি ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলা হয়েছে বন্ধ থাকা কারখানার আড়ালে। আবার সবার চোখ ফাঁকি দিতে পোড়ানোর কাজটি করা হয় রাতে। স্থানীয়রা বলছেন, পোড়ানোর সময় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে গোটা এলাকা।
সীতাকু- সোনাইছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাধারণ মানুষের সমস্যা না হয় সে দিকে নজর দেয়া সকলেরই দায়িত্ব।’
পরিবেশ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী এ ধরনের প্ল্যান্ট করতে হলে স্থাপন করতে হয় বিশেষ চুলা আর চিমনি। কিন্তু অবৈধ এসব প্ল্যান্টে এমন কোনো ব্যবস্থাই নেই। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে বহুমুখী সংকট। মানুষের ক্যান্সারের মতো মরণব্যধি রোগও হতে পারে।’
এসব প্ল্যান্ট স্থাপনে নেয়া হয়নি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। করা হয়নি আবেদনও। তবে কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকার কারণ দেখিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলেননি পরিবেশের কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় দেশে বছরে মিলস্কেল উৎপন্ন হয় প্রায় ২ লাখ টন। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন