জিয়ারুল হক : গত বছরের চেয়ে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৬০ টাকা হারে। ফলে বিপাকে পড়েছেন নি¤œ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অভিবাবকরা। ব্যবসায়ীদের মতে, বিশ্ববাজারে দাম বাড়লে এ দেশেও দাম বাড়বে। ক্রেতারা বলছেন নানা অজুহাত দেখিয়ে কয়েক বছর যাবত লাগামহীন ভাবেই বাড়ছে শিশু খাদ্যের দাম। এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বছরে তিনদফা গুড়ো দুধের দাম বেড়েছে। শেষ দফা দাম বাড়ে এ অক্টোবরে। ঢাকাট্রিবিউন
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বর্তমানে এক কেজি ডিপ্লোমা দুধের দাম ৬৪০ টাকা। রমজানের সময় দাম ছিলো ৬১০ টাকা। বিক্রেতারা কেনেন ৫৯০ টাকায়। গত বছর দাম ছিলো ৫৮০ টাকা। বিক্রেতারা কেনেন ৫৪২ টাকায়। এ হিসেবে দেখা গেছে এবছর দাম বেড়েছে ৬০ টাকা। মার্কসের দাম বর্তমানে ৫৪০ টাকা। গত মাসে ছিল ৫২০ টাকা। বিক্রেতারা কেনেন ৪৭৫ টাকায়। গত বছর ছিল ৪৭০ টাকা। বিক্রেতারা কেনেন ৪৩৫ টাকা। শিশু খাদ্য গ্রিনল্যান্ড এর বর্তমান দাম ৪৪০ টাকা। এক মাস আগেও বিক্রি হতো ৪২০ টাকায়। বিক্রেতারা কেনেন ৩৮০ টাকায়। গত বছর ঢাকার বাজারে গ্রিনল্যান্ডের দাম ছিল ৩৭০ টাকা। বিক্রেতারা কেনেন ৩৪৫ টাকায়। জনপ্রিয় দুধ ডানোর বর্তমান বাজার মূল্য ৬৪০ টাকা। বিক্রেতারা কেনেন ৫৮৮ টাকায়। গত বছর এ দুধের দাম ছিল ৬২০। বিক্রেতারা কেনেন ৫৭০ টাকায়। তবে শিশু খাদ্য নিডোর দাম বাড়েনি। গত বছর যা ছিলো তাই রয়ে গেছে। গত বছরও নিডো বিক্রি হয়েছে ৫১০ টাকায়। এ বছরও একই দাম। বিক্রেতারা কেনেন ৪৮০ টাকায়। এভরিডে নামের দুধটি বর্তমানে রাজধানীতে বিক্রি হয় ৫৮০ টাকায়। পূর্বের দাম ৫৬০ টাকায়। গত বছর এ দুধের দাম ছিলো ৫২৬ টাকা। প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৩৬ টাকা।
শিশু খাদ্যের দাম উঠানামা প্রসঙ্গে মোহম্মদপুর হাউজিং কাঁচাবাজরের সজীব জেনারেল স্টোর এর স্বত্বাধিকারী মো. ফারুক খান বলেন, বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের দেশেও অতিপ্রয়োজনীয় এ খাবারের দাম বাড়ে। আর বর্তমানে বাড়ছে কারণ সব পণ্যের দামই উর্ধ্বগতি। তাই শিশুখাদ্য আর পেছনে থাকে কেন। তবে যেহেতু এটি সন্তানের জন্য কিনতে হয় তাই দাম বাড়লেও বাবা মা তো হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না।
দাম সম্পর্কে দুই সন্তানের মা নাজিয়া আহমেদ বলেন, আমার দু’ছেলেই কৌটোর দুধ খায়। তাই দাম নিয়ে চিন্তা করার সময় মাথায় থাকে না। যখনি দরকার তখনি কিনে ফেলতে হয়। আর দাম নিয়ে মাথা ঘামিয়ে আর কি হবে। আমরা ক্রেতারা হতাশ। কোন জিনিসটার দাম কমছে?
ঢাকার পাশ্ববর্তী আঁটি বাজারের ‘আলম অ্যান্ড সন্স’ দোকান থেকে জানা যায়, মোহম্মদপুরের থেকে ওদের দামে একটু হের ফের রয়েছে। এক কেজি ডিপ্লোমার দাম ৬৫০ টাকা। মার্কসের দাম ৫৫০ টাকা। বিক্রেতাদের ভাষ্য রাজধানী থেকে দূরে এ বাজার, তাই আসা যাওয়ায় খরচ বেশি বলে দামও বেশি। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান