তাহাজ্জুদ আদায়কারীরা বিনা হিসাবে জান্নাতি
আমিন ইকবাল : শেষ রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ আল্লাহর দরবারে প্রিয় একটি ইবাদত। রাতের এই ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়। আল্লাহ তাহাজ্জুদ আদায়কারীদের অত্যাধিক ভালোবাসেন। তাদের জন্য বিনা হিসাবে জান্নাতের ঘোষণা করেছেন। দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের সময় ডটকম আয়োজিত রমজানবিষয়ক বিশেষ আয়োজন ‘আমাদের রমজান’-এ এসব কথা বলেন, মাদরাসাতুল বালাগ ঢাকার প্রিন্সিপাল মুফতি আহসান শরিফ।
মুফতি শরিফ বলেন, হাদিস শরিফে আছে আল্লাহ তিন শ্রেণির মানুষকে বিনা হিসাবে জান্নাত দান করবেন। এ বিষয়ে রাসুল (সা.) বলেন, হাশরের মাঠে একজন ঘোষক ঘোষণা করবেন ‘তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে জাহান্নামের ভয় ও জান্নাত লাভের আশায় রাত জেগে জেগে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়েছে এবং তার প্রভুকে ডেকেছে? তখন কিছু মানুষ দাঁড়াবে। ঘোষক আবার ঘোষণা করবেন তোমাদের মধ্যে এমন কারা আছে যারা দুনিয়ার কাজ-কর্ম ব্যবসা-বাণিজ্য করেছে কিন্তু আল্লাহর স্মরণ থেকে কখনও গাফেল হয়নি? তখন কিছু লোক দাঁড়াবে। তারপর ঘোষক আবারও বলবেন, তোমাদের মাঝে এমন কে আছে যে সুখে-দুঃখে সব সময় আল্লাহর প্রশংসা করেছে! তখন আরও কিছু মানুষ দাঁড়াবে। ঘোষক তখন বলবেন ‘তোমাদের সবাইকে বিনা হিসাবে জান্নাত দেয়া হয়েছে।’
আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র সহ-সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুবের উপস্থাপনায় তিনি আরও বলেন, তাহাজ্জুদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এই ইবাদত নবি করিম (সা.), সাহাবায়ে কেরামসহ সব মুমিন বান্দা করেছেন। তাহাজ্জুদ বিষয়ে আল্লাহ বলেন, ‘হে রাসুল! আপনি রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করুন। এটা আপনার জন্য অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায় আপনার প্রতিপালক আপনাকে প্রশংসিত স্থানে প্রতিষ্ঠিত করবেন।’ [সুরা বনি ইসরাঈল]
মুফতি আহসান শরিফ বলেন, যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে কুরআনে তাদেরকে মুহসেন ও মুত্তাকি নামে অভিহিত করে তাদেরকে আল্লাহর রহমত এবং আখেরাতে চিরন্তন সুখ সম্পদের অধিকারী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তিনি ইরশাদ করেনÑ ‘নিশ্চয়ই মুত্তাকি লোক বাগ-বাগিচায় এবং ঝর্ণার আনন্দ উপভোগ করতে থাকবে এবং যে যে নিয়ামত তাদের প্রভু তাদেরকে দিতে থাকবেন সেগুলো তারা গ্রহণ করবে। কারণ, নিঃসন্দেহে তারা এর পূর্বে (দুনিয়ার জীবনে) মুহসেনীন (বড় নেক্কার) ছিল। তারা রাতের খুব অল্প অংশেই ঘুমাতো এবং শেষ রাতে ইস্তেগফার (কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে মাগফেরাত কামনা) করত’। [সুরা জারিয়াত : ১৫-১৮] সম্পাদনা : সুমন ইসলাম