আমিরুল ইসলাম : পেঁয়াজের ঝাঁজ বৃদ্ধি পেয়েছে বা পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় একমাস হলো। পেঁয়াজের দাম কমার ব্যাপারে সচিব বলেছেন সময় লাগবে ৪৮ ঘণ্টা, কিন্তু মন্ত্রী বলেছেন এক মাস। সরকার পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে পড়লো কিনা জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে টিসিবির মাধ্যমে খোলা বাজারে বিক্রি করা। তাহলেই পেঁয়াজের দাম কমবে।
তিনি বলেন, ভারতে গিয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুরোধ করে এসেছেন। কিন্তু তারা শুনেননি আমাদের কথা। ভারতীয় পেঁয়াজ সস্তা এবং পরিবহন খরচ কম। কিন্তু তারা আমাদের পেঁয়াজ দিচ্ছেন না। আমাদের বাজারে এখন পর্যাপ্ত পেঁয়াজ নেই। পেঁয়াজের দাম নিয়ে এতো অস্থির হওয়ার কিছু নেই। কিছুদিন পেঁয়াজ একটু কম খেলেই হবে। সরকারের এ নিয়ে তেমন কিছু করার নেই। বেসরকারি খাতে পেঁয়াজ আমদানি করাতে সরকারের কোনো বাধা নেই। সাম্প্রতিক সময়ে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের দেশে কিছুটা ঘাটতি থাকার কারণে। সরকার সিন্ডিকেটকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। কারণ সিন্ডিকেট হচ্ছে ইনভিসিবল। কথায় বলা হয় সিন্ডিকেট, কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় না। পুলিশ নিয়ে সিন্ডিকেট ধরতে গেলে আরও ক্ষতি হবে। তখন তারা আরও লুকিয়ে ফেলবে। টিসিবি বড় বড় শহরগুলোর খোলা বাজারে ষাট টাকা ধরে বিক্রি করা শুরু করলে পেঁয়াজের দাম এমনিতে কমে যাবে। পেঁয়াজের বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এভাবে, পুলিশ দিয়ে হবে না।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেছেন, যে পরিমাণ পেঁয়াজ ভারত ও অন্যান্য দেশ থেকে আসতো এখন সে পরিমাণ আসছে না। আমাদের দেশের কৃষকের কাছেও বেশি পেঁয়াজ নেই। যার ফলে দাম বাড়ছে। ভারত আগে থেকে আমাদের সতর্ক করলে এই সংকটটা সামলানো যেতো। এখন সরকার চেষ্টা করেও সামলাতে পারছে না। মিসর থেকে কিছু পেঁয়াজ আসলে কেজিতে দশ টাকা কমতে পারে । একশ টাকার কাছাকাছি পেঁয়াজের দাম আরও একমাস থাকবে বলে মনে হয়। যে পর্যস্ত বাজার সয়লাব না হবে সে পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই। ভরা মৌসুম আসলে এবং ভারত থেকে পুরোদমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলেই দাম কমবে। একমাস পর পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করবে বলে আশা করা যায়।