আগামীতে পোশাক রপ্তানি আয় আরও কমবে, বললেন রুবানা হক
মো. আখতারুজ্জামান : সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপও সুফল আসছে না রপ্তানি আয়ে। কমেই চলছে রপ্তানি আয়ের সূচক। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ দশমিক ২১ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমকি ৮২ শতাংশ কম আয় হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি কমেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি আয়ও। মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) জুলাই-অক্টোবরের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ইপিবির প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) সব ধরনের পণ্য রপ্তানিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরাণ করা হয়েছিলো এক হাজার ৪৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। আলোচিত আয় হয়েছে এক হাজার ২৭২ কোটি ১২ লাখ ডলার। এ সময়ে তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি আয়ও কমেছে। অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর শেষে পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে এক হাজার ৫৭ কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ০৭ শতাংশ কম। রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও কমেছে দশমিক ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ।
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক বলেন, বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের পোশাক পণ্য তৈরি ব্যয় বেড়েছে। অন্যদিকে অর্ডার কমেছে মূল্য। ফলে উৎপাদনের পাশাপাশি কমেছেও রপ্তানি কমছে। আগামীতে আরও কমবে। এখন একটা অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। আমরা রপ্তাানিতে প্রতিনিয়ত পিছিয়ে পড়ছি।
তিনি বলেন, আমরা বারবার সরকারকে এখাতের সমস্যার কথা বলে আসছি। এ বিষয়ে সরকার যদি সহযোগিতা না করে তাহলে আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যা। কারণ অনেক ব্যবসায়ী ইতিমধ্যে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের বড় খাতগুলোতেও রপ্তানি আয় কমেছে। চলতি বছরের অক্টোবর শেষে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ কমে ৩৫ কোটি ২৬ লাখ ডলার। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কমেছে ১৩ দশমিক ১৭ শতাংশ। চার মাসে এ খাতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ১০ লাখ ডলার। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান