টাইটানিকের সমাধিস্থল সংরক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তি
নূর মাজিদ : ২] নতুন এই চুক্তি অনুসারে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবেশ সংরক্ষণে আসবে নতুন গতি। চুক্তিবলে এখন থেকে দুই দেশই টাইটানিকের খোলস থেকে ঐতিহাসিক সব নিদর্শন সরিয়ে নেয়ার ক্ষমতা পাবে। এর ফলে টাইটানিকের ডুবে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত ঘটনার বহু স্মৃতিচিহ্ন সামুদ্রিক শৈবাল, প্রবাল এবং পলির আস্তরণে চাপা পড়ে যাওয়া থেকেও রক্ষা পাবে। খবর : স্কটিশ টাইমস।
৩] চুক্তির বিষয়টি জানান যুক্তরাজ্যের নৌপরিবহণ বিষয়ক মন্ত্রী নুসরাত গনি। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে ২০০৩ সালে একটি প্রাথমিক চুক্তির আওতায় টাইটানিকের স্মৃতিরক্ষার অধিকার পায় দুই দেশ। তবে সেই চুক্তি গত বছরের নভেম্বরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক প¤েপওর সঙ্গে নতুন করে স্বাক্ষরিত আরেক চুক্তির আওতায় কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে। কানাডা এবং ফ্রান্স সাম্প্রতিক চুক্তির আলোচনায় অংশ নেয়। তবে দেশদুটি এখনও এতে স্বাক্ষর করেনি। ৪] নতুন চুক্তির পর কোনো দেশের সরকার, বেসরকারি সংস্থা বা ব্যক্তিকে টাইটানিকে প্রবেশ বা সেখান থেকে কোনো নিদর্শন সরাতে হলে মার্কিন এবং ব্রিটিশ সরকারের অনুমতি নিতে হবে।
গত এক শতাব্দী ধরে সমুদ্রতলে শায়িত টাইটানিক। কানাডার নিউফাউল্যান্ড অঞ্চলের অদূরে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ডুবে যায় প্যাসেঞ্জার লাইনারটি। সম্পাদনা : মোহাম্মদ রকিব