মালিতে বিমানবাহিনীর কন্টিনজেন্ট প্রতিস্থাপন তিনটি হেলিকপ্টার মোতায়েন
ইসমাঈল হুসাইন ইমু: বাংলাদেশ বিমানবাহিনী রিপাবলিক অব মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত ১১৭ সদস্যের কন্টিনজেন্ট প্রতিস্থাপন করেছে। পূর্ববর্তী কন্টিনজেন্টের প্রতিস্থাপক হিসেবে বিমানবাহিনীর ১১১ জন সদস্য জাতিসংঘের ভাড়া করা বিমানে গত রোববার রাতে মালির উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করে। এ কন্টিনজেন্টের ছয় সদস্যবিশিষ্ট এ্যাডভান্স টীম এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর মালিতে যায়।
এছাড়া বাংলাদেশ বিমানবাহিনী মালিতে প্রথমবারের মত তিনটি এমআই-১৭১ হেলিকপ্টারও মোতায়েন করেছে। এ হেলিকপ্টারগুলো গত ২০ সেপ্টেম্বর মালিতে পাঠানো হয়েছে। হেলিকপ্টারগুলো সেখানে শান্তিরক্ষী স্থানান্তর, যুদ্ধে হতাহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর ও জাতিসংঘ কর্মকর্তা ও স্টাফ পরিবহনের কাজে নিয়োজিত থাকবে।
সহকারী বিমানবাহিনী প্রধান (প্রশাসন) এয়ার ভাইস মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং বিমানবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ রোববার রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালি গমনকারী বিমানবাহিনী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের বিদায় জানান। মালি গমনকারী এই কন্টিনজেন্টের নেতৃত্বে রয়েছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এফ এম শামীমুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, মালিতে বিবদমান সংঘাত নিরসনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতা, পেশাদারিত্ব এবং আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে সে দেশের সরকার এবং আপামর জনসাধারণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের অর্জিত এ সুনাম ও সাফল্য অক্ষুণœœ রেখে শান্তিরক্ষীরা ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে যেন আরও উৎকর্ষতা অর্জন করতে পারে, এ কামনা করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক মোনাজাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এর আগে গত ২১ আগস্ট বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল আবু এসরার মালিগামী বিমানবাহিনী কন্টিনজেন্ট সদস্যদের উদ্দেশ্যে তেজগাঁওস্থ পুরাতন বিমান বন্দর ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ওভারসীজ অপারেশন ডেপ্লয়মেন্ট সেলে ব্রিফিং প্রদান করেন এবং মিশনের সাফল্য কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। আইএসপিআর। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি