[১]করোনার অভিঘাতে রাষ্ট্রায়ত্ত ১১ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতি প্রায় ৭,৮০০ কোটি টাকা
সোহেল রহমান : [২] সম্প্রতি করোনার অভিঘাত মোকাবেলায় সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কর্মকৌশল সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রাথমিকভাবে অনুমিত এ ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরেছে ব্যাংকগুলো।
[৩] এর মধ্যে সোনালী ব্যাংকের ১,৬০০ কোটি টাকা, জনতার ২,৫৩৩ কোটি টাকা, অগ্রণীর ১,০১৫ কোটি টাকা, রূপালীর ৮৫৬.৯০ কোটি টাকা, বেসিকের ৩১৯ কোটি টাকা, বিডিবিএল-এর ১৫০ কোটি টাকা, কৃষি ব্যাংকের ৪৪০ কোটি টাকা, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ১৭৯ কোটি টাকা, কর্মসংস্থান ব্যাংকের ৬১ কোটি টাকা, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ২৪৭ কোটি টাকা ও আসনার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের ক্ষতি হবে ৩১৬.২৫ কোটি টাকা। [৪] এর বাইরে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনও তাদের আর্থিক ক্ষতির কথা জানিয়েছে। [৫] বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আর্থিক ক্ষতির কারণ হিসেবে পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি, সুদ আয় কমে যাওয়া ও অন্যান্য সার্ভিস চার্জ হ্রাস এবং করোনাকালীন সময়ে দুই মাসের সুদ স্থগিত রাখা ইত্যাদির কথা জানিয়েছে ব্যাংকগুলো। সম্পাদনা : রেজাউল
[৬] সূত্রমতে, বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, কোনো কারণে ব্যাংকগুলো প্রণোদনা ঋণের অর্থ আদায়ে ব্যর্থ হলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত ব্যাংকগুলোর নগদ জমা থেকে তা কেটে রাখা হবে। [৭] এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো তাদের আদায়ের বিপরীতে অর্থ কেটে রাখার সুপারিশ করেছে।
[৮] বৈঠকে বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো প্রণোদনা ঋণ বিতরণ কর্মসূচিতে তাদেরকে অন্তর্ভূক্ত করার সুপারিশ করেছে। [৯] গ্রাহকের ভিড় এড়াতে ডিজিটাল ব্যাংকিং-এর ওপর গুরুত্বারোপ করেছে ব্যাংকগুলো।