[১]আদিবাসীদের জন্য করোনা হাসপাতাল হচ্ছে আমাজনে
অর্থনীতি ডেস্ক : [২]দক্ষিণ আমেরিকার ব্যাপক হারে ছাড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস পৌঁছে বিশ্বের বৃহত্তম রেইনফরেস্ট আমাজন জঙ্গলে থাকা আদিবাসী গোত্রগুলোতেও। কভিড-১৯ এর ভয়াল থাবা থেকে তাদের বাঁচাতে আমাজনে হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে পেরু।
[৩]করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আদিবাসী গোত্রের সদস্যদের চিকিৎসা দিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালটি নির্মাণ করা হবে বলে দেশটির সরকারের বরাত দিয়ে জানিয়েছে এএফপি।
[৪]পেরুর সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এসসালুদ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ব্রাজিল সীমান্ত ঘেঁষা দূরবর্তী উকাইয়ালি অঞ্চলের রাজধানী পুকালপাতে নির্মাণ করা হবে ১০০ শয্যার কভিড-১৯ হাসপাতাল। তিন সপ্তাহের মধ্যেই হাসপাতালটিতে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হবে।
[৫]করোনাভাইরাসের কারণে আমাজন বনের পেরুর অংশে জরুরি অবস্থা চলছে। ইকুইটোতে হাসপাতালগুলোতে কভিড-১৯ রোগীদের জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। মৃত দেহগুলোর জায়গা হচ্ছে না মর্গগুলোতে। করোনাভাইরাসের চিকিৎসার পরিধি আমাজন জঙ্গলেও বাড়ানোর উদ্যোগ দিয়েছে পেরুর সরকার। সেখানকার বাসিন্দাদের রক্ষায় দ্রুতই ২২০ জন স্বাস্থ্যকর্মী পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
সামাজিক নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফেদেরিকো টং হুতাদো বলেছেন, “আমরা চিকিৎসা সেবা বাড়ানোর জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কভিড-১৯ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সকল সুযোগ-সুবিধা সংবলিত একটা হাসপাতাল আমরা পেরুভিয়ান আমাজনে স্থাপন করছি।
[৬]আমাজন জঙ্গলের ওই এলাকায় মূলত স্থল পথে কোনো রাস্তা নেই। নদী পথেই যোগাযোগের একমাত্র উপায়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা সেবা দ্রুত সময়ে পৌঁছাতে আকাশযোগে অক্সিজেন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গুস্তাভো জাভাল্লোস।
[৭]আমাজন জঙ্গলের বড় অংশ পড়েছে ব্রাজিলে। দেশটি এখন দক্ষিণ আমেরিকার করোনাভাইরাসের হটস্পট। সেখানে অন্তত অন্তত ৩৮টি আদিবাসী অঞ্চলে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। কিন্তু তাদের রক্ষায় দেশটির উদ্যোগ সামান্যই। সূত্র : দেশরুপান্তর অনলাইন, এএফপি গ্রন্থনা কেএম নাহিদ।