[১]৩৮ বছরেও বকেয়া দেনা পরিশোধ করেনি হস্তান্তরিত ১৭ বস্ত্র কারখানা
সোহেল রহমান : [২] দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অডিট বিভাগ সুপারিশ করেছে। [৩] জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত এসব টেক্সটাইল ও কটন মিলগুলো ১৯৮২ সালে পূর্ববর্তী মালিকদের কাছে ও ব্যক্তি খাতে ছেড়ে দেয়া হয়। এক্ষেত্রে মিলগুলোর দায়দেনা পরিশোধসহ এগুলো চালু রাখা ও হস্তান্তর না-করার শর্ত দেয়া হয়েছিল। মিলগুলোর মোট দায়ের পরিমাণ প্রায় ৭৫৮ কোটি টাকা। দেনা পরিশোধে মিলগুলোকে ৬ থেকে ৯ বছর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মালিকদের কেউই এ দেনা পরিশোধ করেননি। [৪] মিলগুলো হস্তান্তরের প্রায় তিন দশক পর অধুনালুপ্ত বেসরকারি কমিশন-এর এক জরিপে দেখা যায়, এসব মিলের মধ্যে চালু রয়েছে হাতেগোনা কয়েকটি। বেশিরভাগ মিলই বন্ধ। কোনো কোনো মিলের মালিকানা হস্তান্তর করা হয়েছে এবং কয়েকটি মিলের বর্তমানে কোনো অস্তিত্ব নেই। [৫] জানা যায়, মিলগুলোর মধ্যে বগুড়া কটন মিলের দায় ৩৬৫ কোটি টাকা, হাবিবুর রহমান টেক্সটাইলের ১৭৭ কোটি টাকা, ঈগল স্টার টেক্সটাইলের ৫২ কোটি টাকা, হালিমা টেক্সটাইলের ৩৭ কোটি টাকা, চিটাগাং টেক্সটাইলের ৩০ কোটি টাকা, কাসেম কটনের ২৩ কোটি টাকা, আফসার কটনের ১৫ কোটি টাকা, ইব্রাহিম কটনের ১৪ কোটি টাকা, গাউছিয়া টেক্সটাইলের ১২ কোটি টাকা, চাঁদ টেক্সটাইলের ১২ কোটি টাকা, জলিল টেক্সটাইলের প্রায় ৯ কোটি টাকা, গোয়ালন্দ টেক্সটাইলের ৮ কোটি টাকা, ময়নামতি টেক্সটাইলের ৩ কোটি টাকা, মাওলা টেক্সটাইলের ৪৬ লাখ টাকা, আহমেদ টেক্সটাইলের ৪০ লাখ টাকা, মেটেক্স টেক্সটাইলের ৩৭ লাখ টাকা ও জেস ব্রাংকেটের ২৮ লাখ টাকা দেনা রয়েছে।