জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বন্ধ ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি পাটকলের নিয়মিত ও অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারিদের পরিশোধযোগ্য বেতন-ভাতার পরিমাণ হিসাব করা হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ কর্তৃক গঠিত কমিটির কাছে পাটকল শ্রমিক-কর্মচারিদের পাওনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে ‘বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন’ (বিজেএমসি)। সংস্থার চেয়ারম্যান মো. আবদুর রউফ এ প্রতিবেদন জমা দেন। বন্ধ ঘোষিত পাটকলগুলোর নিয়মিত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিরূপণে অর্থ বিভাগের ট্রেজারি ও ডেবিট ম্যানেজমেন্টের অতিরিক্ত সচিব শেখ মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহকে প্রধান করে গত ৫ জুলাই পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
পাটকল শ্রমিক-কর্মচারিদের পাওনা পরিশোধে ইতিমধ্যেই ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার কথা জানিয়েছে সরকার।
জানা যায়, অর্থ বিভাগ কর্তৃক গঠিত কমিটি প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করে বকেয়া বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণ করবে। এরপর পাটকলগুলোর নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে শ্রমিক-কর্মচারিদের প্রাপ্য অর্থ স্থানান্তর করা হবে। গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে চাকরিচ্যুতরা তাদের পাওনা অর্থের অর্ধেক পাবেন চেকের মাধ্যমে এবং অবশিষ্ট অর্ধেক পাবেন সেভিং সার্টিফিকেটের মাধ্যমে।
বিজেএমসি সূত্রে জানা যায়, চাকরিচ্যুতদের মধ্যে স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা ২৪ হাজার ৮৪৬ এবং অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা ৩০ হাজার। এছাড়া ৮ হাজার ৯৫৪ জনকে অবসর সুবিধা দিতে হবে। গ্র্যাচুইটিসহ কর্মচারীদের পাওনা ৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ৫৪ লাখ টাকা পর্যন্ত। মোট প্রদেয় ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মধ্যে ৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা নগদ এবং অবশিষ্ট অর্থ সেভিং সার্টিফিকেটের মাধ্যমে পরিশোধ করা হবে।
জানা যায়, অব্যাহত লোকসানের কারণেই বিজএমসি’র আওতাধীন ২৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত ৪৮ বছরের মধ্যে ৪৪ বছর-ই লোকসান দিয়েছে বিজেএমসি এবং মোট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ২৭০ কোটি টাকা। অন্যদিকে দেশের পাটশিল্পে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর অবদান মাত্র ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং পাট পণ্য রপ্তানিতে অবদান ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। রেজা