আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলমান পরিস্থিতিতে পাঞ্জাব এবং জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো ছাড়ছে বাসিন্দারা। যদিও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এসব সীমান্তে কোনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বা সামরিক হামলার সংকেত দেওয়া হয়নি। তবু আশ্বস্ত হতে পারছে না গ্রামগুলোর বাসিন্দারা। দি হিন্দু
গত বুধবার মধ্যরাত থেকে বৃহস্পতিবার সকালে লাইন অব কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তানের মাটিতে জঙ্গি আস্তানায় ভারতের দাবি করা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর নিজেরাই সরে যেতে শুরু করেছে স্থানীয় অধিবাসীরা।
দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিরোজপুর, অমৃতসর, পাঠানকোট, জম্মু এবং এর আশপাশের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোর হাজারো বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব স্থানের অনেক বাসিন্দাকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সরিয়ে নেওয়া হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পাঞ্জাবে প্রাদেশিক সরকারের নির্দেশে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো খালি করা হয়। গ্রামের পঞ্চায়েত ও জেলা প্রশাসনকে দ্রুত এসব এলাকা খালি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
পাকিস্তান দুই দফা অস্ত্রবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন করার পর গত শুক্রবার জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকার প্রায় ২৬ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়। ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজৌরি ও জম্মু জেলায় পাকিস্তানি সৈন্যদের এই অস্ত্রবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
জানা গেছে, ছোট অস্ত্র ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে রাজৌরি জেলার নওশেরা এলাকায় এবং জম্মুর আখনূর এলাকায় হামলা করে পাকিস্তানি সেনারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারী গোলাগুলির আশঙ্কায় রাজৌরি এলাকায় পরিখা খনন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জম্মুতে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ রেখার আশপাশের সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিজেপি নেতা এবং রাজ্যের সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণমন্ত্রী ম্যাম লাল চৌধুরি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এসব এলাকার অধিবাসীরা যেসব স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন সেখানকার বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ এবং স্যানিটেশন ব্যবস্থা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। স্থানীয় স্টেডিয়াম, স্কুল এবং সরকারি ভবনগুলোতে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব স্থানে প্রস্তুত রয়েছে জরুরি অ্যাম্বুলেন্স। নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় উত্তেজক পরিস্থিতির কারণে গতকাল শুক্রবার বেশির ভাগ স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ