আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ২
‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মে পর্যন্ত টিকা দেওয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে’
প্রিয়াংকা আচার্য্য : রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর বলেন, ‘গতকাল পর্যন্ত প্রায় ২৫ লাখ লোককে আমরা প্রথম ডোজের টিকা দেয়া সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যেই প্রথম পর্যায়ে দ্বিতীয় ডোজসহ ৫ কোটি লোককে টিকা দেয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।’
সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি জানিয়েছেন, বিশ^বিদ্যালয় খুলে দেয়ার আগে ১ লাখ ৩৯ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থীকে টিকাদানের কথা বলেছেন। আর টিকাদানের বয়স সর্বনিম্ন ৪০ বছর করা হয়েছে। তাহলে এই বিশাল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে টিকা দানের বিষয়ে বয়স সীমা কত করা হবে জানতে চাইলে ড. আলমগীর বলেন, ‘আমরা শুনেছি যে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেছেন। তবে আমাদের কাছে এখনও কোন আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা আসেনি। আসলে নিশ্চয়ই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
‘সামনের দিনে পরিস্থিতি পাল্টে যেতেও পারে। আমাদের এখানে করোনা সংক্রমণের হার এখনও আড়াই থেকে ৩ শতাংশের মধ্যেই আছে, যেখানে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে এটি মহামারী আকারেই আছে। আমরা আশা করতে পারি, আগামী মে পর্যন্ত এ হার আরও কমে যাবে, তখন হয়তো টিকারও প্রয়োজন হবে না। তবে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কাও আছে, তাই সতর্ক থাকতে হবে অনেক বেশি। আর প্রস্তুতও থাকতে হবে। করোনা প্রতিরোধ করতে প্রতিষেধক গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাটা অতি জরুরি হিসেবে দেখতে হবে।’
‘আমরা ইতিমধ্যে দেশের মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশ জনগণকে প্রথম ডোজের টিকা দেয়া সম্পন্ন করেছি। যেখানে বিশে^র ২০টা দেশেও ১ শতাংশ টিকা দিতে পারেনি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আমরা ২ শতাংশে পৌঁছাবো। আমরা আগে থেকেই ‘সম্প্রসারিত টিকা দান কর্মসূচি’ এ শক্তিশালী থাকায়, কম সময়ে ফলভাবে ব্যাপক সংখ্যাক জনগোষ্ঠীকে টিকা দিতে পেরেছি।’
‘দুই ডোজসহ এ পর্যন্ত ১০ কোটি টিকার ব্যবস্থা আমাদের হয়ে গেছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বসুলভ সম্পর্ক থাকায় উপহার হিসেবে তারা আমাদের ২০ লাখ টিকা উপহার হিসেবে দিচ্ছে। এছাড়া ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনকার তৈরি করোনার টিকা কিনছে ৩ কোটি। কোভ্যাক্স থেকে আসবে ৬ কোটি ৮০ লাখ টিকা।’
উল্লেখ্য, ২১ জানুয়ারি দেশে ভারতের পাঠানো উপহারের ২০ লাখ টিকা আসে। ২৫ জানুয়ারি সিরামের কাছ থেকে কেনা ৫০ লাখ ডোজের চালান আসে। ২৭ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে ২৬ জনকে টিকা প্রয়োগ করা হয়। টিকা কার্যক্রম নিবন্ধনের জন্য ওয়েব প্ল্যাটফর্ম ‘সুরক্ষা’ চালু করা হয়। দেশব্যাপি ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা দান কার্যক্রম শুরু হয়। এ পর্যন্ত টিকা গ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেছেন ৩৬ লাখের বেশি মানুষ।