আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ৩
পোশাকখাতে প্রণোদনা ঋণ পরিশোধ সময় ছয় মাস বাড়ল
সোহেল রহমান : প্রণোদনার ঋণ ও সুদ পরিশোধে আরও ছয় মাস সময় পেল তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন ‘বিজিএমইএ’। গত জানুয়ারিতে শেষ হওয়া তৈরি পোশাক খাতের প্রণোদনা ঋণ ও সুদ পরিশোধের গ্রেস পিরিয়ড ছিল ৬ মাস। সংগঠনের পক্ষ থেকে আবেদনের প্রেক্ষিতে গ্রেস পিরিয়ডের সময়সীমা বাড়িয়ে ১ বছর করা হয়েছে। মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্রমতে, বর্ধিত মেয়াদে গ্রেস পিরিয়ড উত্তীর্ণ হওয়ার পর ঋণের সুদ-আসল পূর্বের শর্ত মোতাবেক ১৮টি কিস্তিতেই পরিশোধ করতে হবে। শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতে করোনার প্রভাব মোকাবেলায় শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে মাত্র ২ শতাংশ সুদে তিন দফায় গত বছর ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা প্রণোদনা ঋণ দেয় সরকার। শর্ত ছিল ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮টি কিস্তিতে দুই বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু গ্রেস পিরিয়ড শেষ হওয়ার আগেই ‘বিজিএমইএ’ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-কে জানায় যে, করোনার কারণে ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ বাতিল, স্থগিত, নির্দিষ্ট সময়ে পেমেন্ট না পাওয়া ইত্যাদি কারণে যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। বিজিএমইএ’র প্রস্তাবের বিষয়টি গত বছরের শেষ দিকে অর্থমন্ত্রণালয়-কে অবহিত করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় করোনা পরিস্থিতির কারণে সচল শিল্প-প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য প্রদত্ত ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ছয় মাসের পরিবর্তে ১ বছর নির্ধারণ এবং দুই বছরের ১৮ কিস্তির মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের পরিবর্তে পাঁচ বছরে ৬০টি কিস্তির সুযোগ দেয়ার জন্য সুপারিশ করেছিল।
কিন্তু এক্ষেত্রে কোনো ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে গত জানুয়ারি মাসে গণমাধ্যমে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করা হয়। এতে করোনার দ্বিতীয় ধাপ মোকাবলায় গৃহীত প্রণোদনা ঋণের সুদ অন্ততপক্ষে ৬ মাসের জন্য স্থগিতকরণ অথবা প্রণোদনা পরিশোধের মেয়াদ অন্ততপক্ষে আরো ১ বছর বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে বলা হয়, অন্যথায় এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা দুরূহ হবে। ‘রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো’ (ইপিবি) কর্তৃক গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের যে রপ্তানি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানির চিত্র উদ্বেগজনক। এ ধারাবাহিকতায় সরকারের নীতি-নির্ধারক মহলের বিবেচনায় তৈরি পোশাক খাতের প্রণোদনা ঋণ ও সুদ পরিশোধে গ্রেস পিরিয়ড ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে বলে জানা যায়। রেজা