ব্রিটিশ রাজপরিবার কোনোভাবেই বর্ণবিদ্বেষী নয়, দাবি প্রিন্স উইলিয়ামের
দেবদুলাল মুন্না: এ কথা তিনি বলেন গত বৃহস্পতিবার ইস্ট লন্ডনের স্ট্রাটফোর্ডে একটি স্কুল পরিদর্শনে গেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে। প্রিন্স হ্যারির বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়াম।স¤প্রতি এক টিভি সাক্ষাৎকারে প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেলের তোলা অভিযোগের পর প্রথম প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই মন্তব্য করলেন। খবর, ওয়াশিংটন পোস্ট ও গার্ডিয়ান।
এরপর অপরাহ উইনফ্রের সঙ্গে আলোড়ন তোলা সেই সাক্ষাৎকারের পর ভাই প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, না, আমি এখনও তার সঙ্গে কথা বলিনি। তবে আমি কথা বলবো।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় উপস্থাপিকা অপরাহ উইনফ্রের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রিন্স হ্যারি ও ব্রিটিশ রাজপরিবারের ছোট পুত্রবধূ মেগান মার্কেলের তোলা বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করে বাকিংহাম প্যালেস। ব্রিটিশ রাজপরিবারের ছোট পুত্রবধূ মেগান মার্কেল জানান, তার সন্তানের শরীরের ত্বক ঠিক কতোটা কালো হবে, তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যরা। একইসঙ্গে রাজপরিবারের সদস্যরা এটা নিয়ে পেছনে পেছনে কথাও বলতেন। এমনকি সন্তানের গায়ের রং কতোটা কালো হবে এটা নিয়ে স্বামী প্রিন্স হ্যারিকে পরিবারের এক ব্যক্তি প্রশ্ন পর্যন্ত করেছিলেন বলেও অভিযোগ করেন মেগান।
২০১৮ সালে প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে বিয়ের পর ২০১৯ সালের মে মাসে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন মেগান। স¤প্রতি গর্ভে দ্বিতীয় সন্তান ধারণের ঘোষণা দেন মেগান মার্কেল। ২০২০ সালে স্বাধীন জীবনযাপন করতে তারা রাজপরিবার থেকে বেরিয়ে যান। বর্তমানে এই দম্পতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করছেন। সম্পাদনা: শাহেদ আবেদীন