আমার দেশ • প্রথম পাতা • লিড ৫
বেড়েছে অধিকাংশ সবজির দাম
মাসুদ মিয়া : সপ্তাহ ব্যাবধানে অধিকাংশ শাক সবজির দাম বেড়েছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে চাল ডাল পেঁয়াজ রসুন ও মরিচের দাম। বেড়েছে পটল, বেগুন, শিম, ধুন্দল, বরবটি, ঢেঁড়স, লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, প্রায় অধিকাংশ সবজি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। বেশিরভাগ সবজির কেজি এখন ৪০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগেও বেশিরভাগ সবজি ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল। গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়।
তবে দাম বাড়েনি মুরগির। গরু ও খাসির মাংস দীর্ঘদিন ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, রসুনের দাম ক্রেতাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে। গতকাল ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। আর পাকিস্তানি কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা।
বাজারে নতুন আসা সজনে ডাটার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। তবে এখন এই সবজিটি এক কেজি কিনতে ক্রেতাদের একশ টাকা গুনতে হচ্ছে। বাজার ও মানভেদে সজনে ডাটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা।
বরবটি, ৬০ টাকা বেগুন বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা করে , ঢেঁড়স ৫০ টাকা। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা।
তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে লাউ। মাঝারি আকারের একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা।
এর সঙ্গে দাম বেড়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও শিমের। ২০ থেকে ৩০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম বেড়ে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিমের দাম বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
নতুন করে দাম না বাড়লেও ধুন্দল, চিচিঙ্গা কিনতেও ভোক্তাদের ৫০ টাকার ওপরে গুনতে হচ্ছে। বাজার ও মানভেদে ধুন্দলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে চিচিঙ্গা। শশা আগের সপ্তাহের মতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে এখন ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে পাকা টমেটো ও পেঁপে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে পাকা টমেটোর দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটোর দাম কবে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পেঁপের কেজি আগের মতো ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গাঁজরের কেজিও আগের সপ্তাহের মতো ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আবুল কাশেম বলেন বলেন, শীত চলে যাওয়ায় সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। সামনে সবজির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখন বেশি দামে বিক্রি হাওয়া পটল, ঢেঁড়সের দাম সামনে কমে যাবে।
এদিকে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পেঁয়াজের পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে রসুন, আদা এবং ডিম। ফার্মের মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা। দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি আদা।
পেঁয়াজের দামের বিষয়ে পাঁচ ভাই ঘাট লেন ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন বলেন, পেঁয়াজের দাম কখন বাড়ে, আবার কখন কমে বলা মুশকিল। তারপরও বাজারের চিত্র দেখে মনে হচ্ছে রোজার আগে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম।
রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি রুই মাছের দাম (আকারভেদে) ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়, মাগুর মাছ ৪০০ টাকায়, প্রতি কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে হাজার টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকায়, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, পোয়া মাছ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায়, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, টাটকিনি মাছ ১০০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৪০ টাকায়, সিলভার কার্প ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়, দেশি কৈ মাছ ১৫০ থেকে ৭০০ টাকা, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, আইড় মাছ ৫০০ টাকায়, রিডা মাছ ২২০ টাকায় ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, গুড়া বেলে ১২০ টাকায়, রূপ চাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।