আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিরিয়ার আলেপ্পোর পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহীদেরকে আত্মসমর্পণ করার শর্তে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার প্রস্তাব দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। সিরিয়ার আলেপ্পোতে অভিযান জোরালো করার অঙ্গীকারের কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, যেসব বিদ্রোহী অস্ত্র সমর্পণ করবেন তাদেরকে পরিবারসমেত এলাকা ছাড়তে দেওয়া হবে। আলেপ্পোতে দুই সপ্তাহ ধরে সরকারি বাহিনীর বিমান হামলার পর এ প্রস্তাব দেন আসাদ। বাংলাট্রিবিউন
এর আগে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দারায়াসহ বিভিন্ন অবরুদ্ধ এলাকায় বিদ্রোহীদের অনেককে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া আত্মসমর্পণের প্রস্তাব গ্রহণ করতে দেখা গেছে। তবে, আলেপ্পোর বিদ্রোহীরা জানিয়ে দিয়েছে তাদের আত্মসমর্পণের প্রস্তাব গ্রহণের কোনও ইচ্ছে নেই। এ প্রস্তাবকে ধোঁকা হিসেবে উল্লেখ করেছে তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি নিশ্চিত করেছে। বুধবার আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় বোমা হামলা শিথিল করে সিরিয়ার সেনাবাহিনী। সেইসঙ্গে অস্ত্র সমর্পণের জন্য বিদ্রোহীদের আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয়, যারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না তাদেরকে পরিণতি ভোগ করতে হবে। মোবাইলেও সরকারের পক্ষ থেকে অবরুদ্ধদের কাছে এ সংক্রান্ত মেসেজ পাঠানো হয়েছে। ড্যানিশ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসাদ বলেন আলেপ্পোতে সিরিয়ার সরকারের অভিযানের তীব্রতা কমবে না। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশে লড়াইরতদের এবং তাদের পরিবারকে চরম পরিণতি ভোগ করার জন্য প্রস্তুত থাকতেও বলেন তিনি। বিধ্বস্ত আলেপ্পো
সিরিয়ায় ২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে আড়াই লাখ মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। সিরিয়ার চলমান সংকট নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বিপরীত ধর্মী। বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য তারা আসাদ সরকারের বিদ্রোহ ঘোষণাকারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে এবং ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে। তবে আসাদ সরকারের দাবি, আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে যুক্তরাষ্ট্র মূলত বিদ্রোহীদের সহযোগিতা করতে সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা চালাচ্ছে। আর রাশিয়া বাশার আল আসাদকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আসাদ সরকারের সমর্থনে রাশিয়াও আইএস ও বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ