বৃহত্তর টিকা রপ্তানিকারক দেশ থেকে আমদানিকারক হয়ে উঠছে ভারত
লিহান লিমা : গত কয়েক মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ ডোজ করোনার টিকা সরবরাহ করেছে ভারত। তবে সম্প্রতি লকডাউনের বিধি-নিষেধ তুলে নেয়ার পর করোনার সংক্রমণ লাফিয়ে বাড়ায় দেশটি নিজেই টিকার ডোজ সংকটে পড়েছে। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
ভারতে গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো করোনা সংক্রমণ দিনে ২ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশটি অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত করোনা ভাইরাসের টিকার পুরোটাই নিজেদের নাগরিকদের জন্য কাজে লাগাতে চাইছে।
দেশটি টিকা রপ্তানি নীতির তড়িৎ পরিবর্তন করেছে। এই মাসে ভারত সরকার প্রায় ১২ কোটি ৫০ লাখ ভারতীয়কে দেয়ার জন্য রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকা আমদানি করার চুক্তি করেছে।
ভারতের টিকা নীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন বলেছেন, এই মুহুর্তে ভারত করোনার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে, তাই এখন হাতে পাওয়া টিকাগুলো অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্য দেশের সঙ্গে টিকার চুক্তি করা ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ টিকার চাহিদার ওপর ভিত্তি করেই রপ্তানির হার নির্ধারণ করা হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স উদ্যোগ বৃহত্তর টিকা উৎপাদক দেশ ভারতের সরবরাহের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। বিশ্বের বৃহত্তর টিকা উৎপাদক সংস্থা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট নি¤œ ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে ২০২১ সালের মধ্যেই ২০০ কোটি ডোজ টিকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তবে এই মাসে ভারত মাত্র ১২ লাখ টিকার ডোজ রপ্তানি করেছে। যেখানে কি না গত জানুয়ারি ও মার্চে রপ্তানি করেছিলো ৬ কোটি ৪০ লাখ ডোজ। আফ্রিকায় কর্মরত জাতিসংঘের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন,একটি উৎপাদক দেশের ওপর নির্ভর করা খুবই উদ্বেগজনক। গত মাসেও ভারতের সরবরাহের হার অত্যন্ত স্বল্প ছিলো।