আমার দেশ • নগর সংস্করণ • প্রথম পাতা • লিড ২
৬ লাখ ১ হাজার ৫১১ কোটি টাকার বাজেট আসছে
সোহেল রহমান : আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের মূল বাজেটের সংশোধিত আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৬ লাখ ১ হাজার ৫১১ কোটি টাকা। এর আগে প্রাথমিকভাবে বাজেটের আকার প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা। তবে বর্তমানের সংশোধিত আকারও পরিবর্তন হতে পারে। নতুন বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ এবং টাকার অঙ্কে জিডিপি’র আকার ধরা হয়েছে ৩৪ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
অতি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটি’র দ্বিতীয় ভার্চুয়াল বৈঠকে সংশোধিত এসব হিসাব প্রাক্কলন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
প্রসঙ্গত, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের মূল বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় অভিঘাতের কারণে তা পুরোপুরি অর্জিত হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমতাস্থায় চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।
আগামী অর্থবছরে ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী’ (এডিপি)-এর আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, নতুন বাজেটে সার্বিক ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা। এটি প্রাক্কলিত নতুন জিডিপি’র ৬ দশমিক ১ শতাংশ।
জানা যায়, বাজেটের ২ লাখ কোটি টাকার বেশি যে ঘাটতি ধরা হয়েছে, এর সিংহভাগ অর্থই নেয়া হবে ব্যাংকিং খাত থেকে। এ খাত থেকে প্রায় লাখ কোটি টাকার ঋণের টার্গেট নেয়া হয়েছে। কারণ ব্যাংকিং খাতে এখন তারল্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। আর ব্যাংকের ঋণের সুদও কম। এর পাশাপাশি সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেয়া হবে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। বাকি অর্থ বিদেশি ঋণ ও অনুদান হিসেবে পাওয়া যাবে।
নতুন বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। এটা জিডিপি’র ১১ দশমিক ২ শতাংশ। মোট রাজস্ব আয়ের মধ্যে ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড’ (এনবিআর) থেকে আয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। এটা জিডিপি’র ৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
সূত্রমতে, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে গত অর্থবছর ও চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের গতিধারা পর্যালোচনায় এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
জানা যায়, বৈঠকে রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বৈঠকে এনবিআর পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনার কারণে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যহত হচ্ছে। তাই রাজস্ব আদায়ও হচ্ছে না কাঙ্খিত হারে। এ বছরও রাজস্ব ঘাটতি ১ লাখ কোটি টাকা ছুঁয়ে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে বৈঠকে চলতি বছরে রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, আগামী অর্থবছরের জন্যও একই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও