কোভিডকালেও বিশে^ সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি
রাশিদ রিয়াজ : গতবছর তার আগের বছরের চাইতে বিশে^ সামরিক ব্যয় ২.৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৯ সালে বিশে^ সামরিক ব্যয় ছিল ১.৯৮ ট্রিলিয়ন ডলার। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট বলছে কোভিডে ক্ষতিকর প্রভাব সত্ত্বেও সামরিক বিশেষজ্ঞরা বিশে^ এধরনের ব্যয় দেখতে পাচ্ছেন। তারা ভেবেছিলেন করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সংকট বড় এবং ক্ষুদ্র অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করায় সামরিক ব্যয় হ্রাস পাবে। তবুও, কয়েকটি প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে যে মহামারীটি গত দশকে শুরু হওয়া সামরিক ব্যয়ে দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত প্রবণতাগুলিকে হ্রাস করার সম্ভাবনা কম। মহামারীপূর্ব যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, রাশিয়া ও ব্রিটেন যথারীতি সামরিক ব্যয়ে শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসেবে অবস্থান করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড মহামারীতে যেখানে বিশ^ অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়েছে ৪.৪ শতাংশ সেখানে সামরিক ব্যয় ঠিকই বৃদ্ধি পেয়েছে । যা আগে ছিল বিশ^ জিডিপি’র ২.২ শতাংশ তা গত বছর বৃদ্ধি পেয়েছে ২.৪ শতাংশে। ২০০৮-৯ সালের বিশ^ অর্থনৈতিক মহামন্দার পর এ সামরিক ব্যয় বিশে^ সর্বোচ্চ।
প্রতিবেদনের সহ-লেখক দিইগো লোপেস দা সিলভা বলেন মহামারীর মধ্যেও বিশে^ এধরনের সামরিক ব্যয় অপ্রত্যাশীত। বরং সামরিক বিশেষজ্ঞরাও মনে করেছিলেন করোনা মহামারীতে সামরিক ব্যয় হ্রাস পাবে। অর্থাৎ সামরিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোভিড মহামারী কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। তবে ব্রাজিল ও রাশিয়ার মত দেশগুলো তাদের সামরিক ব্যয় হ্রাস করেছে। কোভিড মহামারীর জন্যে এ ব্যয় কমিয়েছে কি না দেশ দুটি তা পরিস্কার করে বলেনি। সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তা ৩৯ শতাংশ এবং এরপরেই রয়েছে চীনের অবস্থান, দেশটির ব্যয় বৃদ্ধি হচ্ছে ১৩ শতাংশ।
প্রতিবেদনের আরেক সহ-লেখক আলেকজান্দ্রা মার্কস টেইনার বলেন, এধরনের সামরিক ব্যয় বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে চীন ও রাশিয়ার। কৌশলগত প্রতিযোগী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় বাড়লে এ দুটি দেশেরও ব্যয় বৃদ্ধি পায়। লোপেস দা সিলভা আরো বলেন বাইডেন প্রশাসন এখনো কোনো ইঙ্গিত দেয়নি যাতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় হ্রাস পাবে। ইইউ মিলিটারি কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল ক্লাউদিও গ্রাজিয়ানো বলেছেন, বিশ^ মহামারী পরিস্থিতি প্রতিরক্ষা খাতে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে যা নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টি করবে। কারণ সামরিক প্রশিক্ষণ খাতে ব্যয় হ্রাস করতে হচ্ছে। ওপেন সোর্স প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা জেনেসের মতে সামরিক ব্যয় হ্রাসের বিষয়টি এবছর নির্ভর করছে পণ্য রপ্তানির উপর। সম্পাদনা : ভিক্টর রোজারিও