কর্পোরেট কর কমছে ২.৫% শতাংশ, বাজেট পুঁঁজিবাজার বান্ধব : রকিবুর রহমান
মাসুদ মিয়া : ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটকে পুঁজিবাজার বান্ধব আখ্যায়িত করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ডিএসইর সাবেক সভাপতি বর্তমান পরিচালক রকিবুর রহমান। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে করপোরেট কর কমানো এটা আমাদের দাবি ছিল। করপোরেট কর কমানো হচ্ছে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ। এতে পুঁজিবাজারের প্রতি সরকারের আন্তরিকতা ফুটে উঠেছে, যার ইতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়বে বলে আমি মনে করি।
এদিকে ব্যবসায়ীদের দাবিতে সাড়া দিয়ে এবারও করপোরেট করহারে ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল উৎপাদনমুখী শিল্পখাতের কোম্পানির করহার ২ দশমিক ৫০% শতাংশ পয়েন্ট কমানোর প্রস্তাব করেছেন।
বৃহস্পতিবার বাজেট প্রস্তাবে আগামী অর্থবছরে তিনি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবং তালিকাভুক্ত নয়Ñ উভয় ধরনের কোম্পানির করহার কমানোর কথা বলেছেন।
চলতি অর্থবছরেও একই পরিমাণ করপোরেট কর কমানো হয়, তবে তা ছিল শুধু পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির জন্য প্রযোজ্য। অর্থমন্ত্রীর নতুন প্রস্তাবের ফলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির জন্য করহার সাড়ে ৩২% থেকে কমে ৩০% হবে। অন্যদিকে পুঁজিবাজরে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ২৫% থেকে কমে সাড়ে ২২% হবে।
বর্তমানে কোম্পানির কর কাঠামোতে আটটি স্তর রয়েছে। ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংক, মোবাইল ফোন কোম্পানি, সিগারেট কোম্পানিসহ বাকি ছয় স্তরের করপোরেট করে কোনো পরিবর্তন হবে না। তবে এক ব্যক্তির করপোরেট করহার সাড়ে ৩২ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন মুস্তফা কামাল। অন্যদিকে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল কোম্পানির (এমএফএস) করহার তালিকাভুক্ত বা তালিকাভুক্ত নয় উভয়ের ক্ষেত্রে বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে সাড়ে ৩২ থেকে সাড়ে ৩৭ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত না হলে সাড়ে ৩২ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যদিকে ব্যক্তি-সংঘের করহার সাড়ে ৩২ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে। শিল্পখাতে বিনিয়োগ আকর্ষণে এবং মহামারীতে উদ্যোক্তাদের আরও কিছুটা সুবিধা দিতে এমন প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর।
বাজেট বক্তৃতায় এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিরাজমান ব্যবসাবান্ধব পরিবেশে সঙ্গে একটি প্রতিযোগিতামূলক করহার দেশের বাণিজ্যের প্রসারে ও শিল্পায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ছয় স্তরের করকাঠামো অপরিবর্তিত থাকবে অর্থ্যাৎ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও ২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া নতুন ব্যাংক (৩৭.৫%), তালিকাবহির্ভূত ব্যাংক (৪০%), মার্চেন্ট ব্যাংক (৩৭.৫০%), সিগারেট, জর্দা ও গুলসহ তামাকজাত দ্রব্য প্রস্তুতকারী কম্পানি (৪৫%), তালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন কোম্পানি (৪০%) ও তালিকাবহির্ভূত মোবাইল ফোন কোম্পানির (৪৫%) কর একই থাকছে।