রাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ কমলেও খুলনায় বাড়ছে রোগীর সংখ্যা
অর্থনীতি ডেস্ক : খুলনায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। সেখানে চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স-চিকিৎসকরা। রাজশাহীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সামান্য ‘কমেছে’। রোববার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দুটি ল্যাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
তাতে দেখা যাচ্ছে, শনাক্তের হার কমে ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ হয়েছে। শনিবার এটা ছিল ৫০ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ হিসাবে রাজশাহীতে আগের দিনের চেয়ে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানান, রোববার দুই ল্যাবে রাজশাহীর ৪৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ১৯৭ জনের পজিটিভ আসে।
এ হিসাবে শনাক্তের হার ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর গত শুক্রবার শনাক্তের হার ছিল ৪৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনাভাইরাস ইউনিটে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। যারা সবাই আক্রান্ত ছিলেন বলে উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সাতজনের তিনজই চাঁপাইনবাবগঞ্জের। আর রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও পাবনার রয়েছেন একজন করে।
রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা মারা যান বলে জানান তিনি। এদিকে খুলনা বিভাগে মৃত্যুর হার না বাড়লেও সংক্রমণ বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা বলেন, রোববার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় এ বিভাগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ছয়জন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ছয়জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু রোববার রোগী ভর্তি করা হয়েছে রেকর্ড সংখ্যক।
খুলনা করোনাভাইরাস ডেডিকেটেড হাসপাতালের মুখপাত্র ও খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মেহেদী নেওয়াজ বলেন, রোববার এ হাসপাতালে একসঙ্গে ১৩০ জন করোনাভাইরাস রোগী ভর্তি করা হয়। আগে এত রোগী ভর্তি করা হয়নি। এর আগে শ’খানেক রোগী থাকত।
এখন যে পরিমাণ রোগী ভর্তি হচ্ছে তা আগে কখনও দেখা যায়নি। এত রোগীর চাপ সামলাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী রয়েছে। শয্যা না থাকায় মেঝেতে থাকতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, হাসপাতালে লজিস্টিক সাপোর্ট তুলনামূলক অনেক কম। রোগীর চাপ দেখে মনে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা বাড়াতে হবে। সূত্র : বিডিনিউজ, বাংলানিউজ। গ্রন্থনা : শোভন দত্ত। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিওরাজশাহীতে করোনার সংক্রমণ কমলেও
খুলনায় বাড়ছে রোগীর সংখ্যা
অর্থনীতি ডেস্ক : খুলনায় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। সেখানে চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন নার্স-চিকিৎসকরা। রাজশাহীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সামান্য ‘কমেছে’। রোববার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের দুটি ল্যাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
তাতে দেখা যাচ্ছে, শনাক্তের হার কমে ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ হয়েছে। শনিবার এটা ছিল ৫০ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ হিসাবে রাজশাহীতে আগের দিনের চেয়ে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ পয়েন্ট কমেছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানান, রোববার দুই ল্যাবে রাজশাহীর ৪৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ১৯৭ জনের পজিটিভ আসে।
এ হিসাবে শনাক্তের হার ৪১ দশমিক ৩০ শতাংশ। আর গত শুক্রবার শনাক্তের হার ছিল ৪৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনাভাইরাস ইউনিটে আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। যারা সবাই আক্রান্ত ছিলেন বলে উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সাতজনের তিনজই চাঁপাইনবাবগঞ্জের। আর রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও পাবনার রয়েছেন একজন করে।
রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টার মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা মারা যান বলে জানান তিনি। এদিকে খুলনা বিভাগে মৃত্যুর হার না বাড়লেও সংক্রমণ বাড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা বলেন, রোববার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় এ বিভাগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ছয়জন। তার আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ছয়জনের মৃত্যু হয়। কিন্তু রোববার রোগী ভর্তি করা হয়েছে রেকর্ড সংখ্যক।
খুলনা করোনাভাইরাস ডেডিকেটেড হাসপাতালের মুখপাত্র ও খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ মেহেদী নেওয়াজ বলেন, রোববার এ হাসপাতালে একসঙ্গে ১৩০ জন করোনাভাইরাস রোগী ভর্তি করা হয়। আগে এত রোগী ভর্তি করা হয়নি। এর আগে শ’খানেক রোগী থাকত।
এখন যে পরিমাণ রোগী ভর্তি হচ্ছে তা আগে কখনও দেখা যায়নি। এত রোগীর চাপ সামলাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগী রয়েছে। শয্যা না থাকায় মেঝেতে থাকতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, হাসপাতালে লজিস্টিক সাপোর্ট তুলনামূলক অনেক কম। রোগীর চাপ দেখে মনে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা বাড়াতে হবে। সূত্র : বিডিনিউজ, বাংলানিউজ। গ্রন্থনা : শোভন দত্ত। সম্পাদনা : ভিকটর রোজারিও